এনইউবির নবীন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
Published: 26th, June 2025 GMT
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও নৈতিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এ কর্মশালায় আলোচকবৃন্দ শিক্ষকতার আদর্শ, গুণগত শিক্ষা এবং মূল্যবোধভিত্তিক পেশাগত চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘শিখন পদ্ধতিতে গুণগত মান বৃদ্ধি’ বিষয়ক আলোচনায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.
‘ভালো শিক্ষক হওয়ার দিকনির্দেশনা’ প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপদেষ্টা (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ভালো শিক্ষক হতে হলে শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, শিক্ষার্থীর মনোজগতে প্রবেশ করার সক্ষমতাও থাকতে হবে। একজন আদর্শ শিক্ষক শিখিয়ে দেন কেবল বিষয়বস্তু নয়, শেখান জীবনও।
তিনি বলেন, শিক্ষকতার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো জ্ঞান। এটা অন্যসব পেশার থেকে আলাদা। এখানে উদ্দীপনা, একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতা থাকা প্রয়োজন। একজন শিক্ষককে হতে হবে রোল মডেল, সমাজের আইকনিক ব্যক্তিত্ব।
সমাপনী বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রশিক্ষণার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আজকের এ কর্মশালা শিক্ষকদের পেশাগত জীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে। ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে