ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক
Published: 27th, June 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সকাল ও বিকেলে দুই ধাপে মোট ১৮টি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। এ সময় অন্য রিটার্নিং কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রসংগঠনের নেতারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনী প্রস্তুতি, প্রশাসনিক সহযোগিতা, নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং ভোট গ্রহণপ্রক্রিয়া–সংক্রান্ত নানা বিষয়ে মতামত দেন।
আলোচনায় ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে ডাকসুর নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করা, যাতে পরবর্তী ডাকসু নির্বাচনও নির্দিষ্ট সময়ে হতে পারে; ডাকসু গঠনতন্ত্রের ৫(ক) ও ৭(ক) ধারা পরিবর্তন করা; শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে তাঁদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা সাপেক্ষে ডাকসুর তফসিল ঘোষণা করা; ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে হওয়া এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) আমাদের ডাকসুর গঠনতন্ত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রস্তাবিত দাবিগুলোর ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি অথচ আমরা সব ছাত্রসংগঠন দীর্ঘদিন ধরে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের কথা বলেছি। বৈঠকে ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলোচনার পর আমাদের মনে হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো একটি বিশেষ দলের লোকদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তারা তাদের সব ধরনের কথা রাখতে গিয়ে ডাকসু নির্বাচন পিছিয়ে নিচ্ছে। এতে করে অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একধরনের হতাশা কাজ করছে। আমরা জুন মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছি।’
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সভায় আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১০ মাস ধরে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা ও প্রতারণা করে এসেছে। আজ যে গঠনতন্ত্রের ছাপানো কপি আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রস্তাবিত সংস্কারের কোনো প্রতিফলন নেই। এমনকি যেসব ধারা পরিবর্তনের ব্যাপারে সব সংগঠন ঐকমত্যে পৌঁছেছিল, সেগুলোরও কোনো পরিবর্তন হয়নি।’
নূজিয়া হাসিন বলেন, সংস্কার কমিশন কখনোই গঠনতন্ত্রের খসড়া নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেনি। এটি পরিষ্কারভাবে দেখায়, প্রশাসন গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ করতে চাইছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলোচনাজুড়ে অনেক আলাপ হয়েছে, যেগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজের আওতাভুক্ত নয়। তবে আমরা আমাদের আলাপগুলো প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছি। মোটাদাগে গঠনতন্ত্র সংস্কারের যেসব বিষয়ে সব ছাত্রসংগঠন একমত, যেমন সভাপতি হিসেবে ছাত্র প্রতিনিধি রাখা, সভাপতির ক্ষমতা কমানো, নির্বাচিত ডাকসুর মাধ্যমে গঠনতন্ত্র সংশোধন ইত্যাদি বিষয় দ্রুত অনুমোদনের কথা বলেছি।’
মাঈন আহমেদ বলেন, প্রায় সবাই ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে চেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরীক্ষা, জুলাই উদ্যাপনকে বিবেচনায় রাখার কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কোনো ফয়সালা না দিলেও নিজেদের মধ্যে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ফলোআপ মিটিংয়ের নিশ্চয়তা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। অংশীজনদের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারবদ্ধ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক গঠনতন ত র আম দ র প রস ত স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত সংগঠনগুলো, প্রচারে সম্ভাব্য প্রার্থীরা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার পর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। পদপ্রত্যাশী প্রার্থীরা ও ছাত্রসংগঠনগুলো প্যানেল গোছাতে নড়েচড়ে বসেছেন। শীর্ষ পদগুলোতে কারা নেতৃত্বে আসবে এবং কোন কোন ছাত্রসংগঠনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা ও বিশ্লেষণ।
এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ১৫ দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো ছাত্রসংগঠন বা শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেনি। তবে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রথম আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত প্যানেল অনুযায়ী, নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয শাখার সভাপতি মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে সংগঠনের সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আকন্দ নির্বাচন করবেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক, বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং ক্যাম্পাসের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিতর্ক, সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সদস্যদের সমন্বয়ে মোট ৫ থেকে ৬টি প্যানেল হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ছাত্রী সংস্থা মেয়েদের হলগুলোতে হল সংসদ নির্বাচনে আলাদা প্যানেল ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গেছে।
অন্যান্য ছাত্রসংগঠন রাকসু নিয়ে প্যানেল গোছানোর চেষ্টা করলেও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এখনো কোনো প্রস্তুতি দেখা যায়নি। ৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ‘গণ-অভ্যুত্থানে বিরোধিতাকারী’ ২১ শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, ‘আওয়ামীপন্থী ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের’ বিচারের আগে রাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন‘গণ-অভ্যুত্থানে বিরোধিতাকারী’ ২১ শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ ছাত্রদলের, বিচার দাবিতে বিক্ষোভ০৭ আগস্ট ২০২৫রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় এক দশক পর ১৯৬২ সালে রাকসু প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর মোট ১৪টি নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে রাকসু নির্বাচন হয়েছিল। ভিপি (সহসভাপতি) হয়েছিলেন তৎকালীন ছাত্রদল নেতা রুহুল কবির রিজভী। জিএস (সাধারণ সম্পাদক) হয়েছিলেন জাসদ ছাত্রলীগ নেতা রুহুল কুদ্দুস বাবু।
বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জুলাই রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৭ আগস্ট থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হবে। ১৯ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। দাখিল করা যাবে ২১, ২৪ ও ২৫ আগস্ট। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিটি আবাসিক হলে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিনই গণনা শেষে ফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
রাকসু নির্বাচনে এবার সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহসাধারণ সম্পাদকসহ (এজিএস) মোট ২৩টি পদে, হল সংসদে ১৫টি এবং সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ক্যাম্পাসে নির্বাচনের আমেজ তত বাড়ছে।
নির্বাচনে চমক দেখাতে শক্তিশালী প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছে ছাত্রসংগঠনগুলো। পুরোপুরি দলীয় প্যানেলের চেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্মিলিত প্যানেল গঠনের চিন্তার কথাও জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বির্তক, সাংবাদিক সংগঠন ও ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখগুলোকে প্যানেলে ভেড়াতে মনোযোগ দিয়েছেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের সমর্থন পেতে তাঁদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী ও সংগঠনগুলো। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে রাকসুকেন্দ্রিক আলোচনা করতে দেখা গেছে। দলীয় প্যানেলের হয়ে আত্মপ্রকাশ না করলেও বেশ কয়েকজন নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরাও ফিল্ড গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। নির্বাচনের সময় কিছুটা ঘনিয়ে এলে ভোটের মাঠের চিত্র এবং পরিবেশ পরিস্থিতির আলোকে প্যানেল ঘোষণা করা হবে।’
আরও পড়ুনরাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশ, প্রার্থী হলে করাতে হবে ডোপ টেস্ট৩১ জুলাই ২০২৫গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের পক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্রসংগঠনগুলোর বাইরেও বিভিন্ন অ্যাকটিভিস্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে সম্মতি জানিয়েছে। ক্যাম্পাসের স্বার্থে আমরা বৃহৎ একটি প্যানেল গঠনের আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কে, কোন পদে লড়বে, তা এখনো ঠিক হয়নি। সকলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রার্থিতা দেওয়া হবে।’
ভিপি-জিএস প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় তাঁরাশীর্ষ তিনটি পদে কারা আসবেন, তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। ছাত্রসংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কয়েকজন পরিচিত সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সাবেক সমন্বয়ক ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। তাঁদের মধ্য থেকে ভিপি প্রার্থী (সহসভাপতি) হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সমন্বয়ক ও সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মেহেদী সজীব। তিনি গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে ভিপি পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার, ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা জিএস পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী হতে পারেন শাখা সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। বামপন্থী গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের গঠিত প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী হতে পারেন ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আলিফ শাহরিয়ার। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও বিতর্ক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল থেকে আলোচনায় রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি নোমান ইমতিয়াজ।
সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুজন সমন্বয়ক মিলে আরেকটি প্যানেল হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। সেই প্যানেলে শীর্ষ পদে প্রার্থী হতে পারেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রাবেয়া মুহিব, সাবেক সমন্বয়ক মৃত্তিকা ও মাহায়ের ইসলাম। ছাত্র অধিকার পরিষদও আলাদা প্যানেল দিতে পারে। এই প্যানেল থেকে ভিপি হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন শাখা সভাপতি মেহেদী মারুফ।
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব রকমের প্রস্তুতি চলছে। কোনো সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন পেছানোর দাবি করেনি। নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবে না। সুষ্ঠু, সুন্দরভাবেই নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
আরও পড়ুনরাকসু নির্বাচনে একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনসহ ৩ দাবি ছাত্র জোটের২৯ জুলাই ২০২৫