Risingbd:
2025-08-11@17:59:46 GMT

বাউল খোয়াজ মিয়া মারা গেছেন

Published: 27th, June 2025 GMT

বাউল খোয়াজ মিয়া মারা গেছেন

জনপ্রিয় বাউল গান ‘লাগাইয়া পিরিতের ডুরি, আলগা থাকি টানেরে, আমার বন্ধু মহা জাদু জানে’-এর রচয়িতা বাউল খোয়াজ মিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন খোয়াজ। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৩ বছর। 

তিনি ‘জ্ঞানের সাগর’ ফকির দুর্বিন শাহর শিষ্য ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন সংগীতশিল্পী আকাশ গায়েন।

বাউল খোয়াজ মিয়া জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ১২ মার্চ। তার বাবা মৌলভি আজিজুর রহমান ও মা আছতুরা বিবি। তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন সংগীতপ্রেমী। পড়াশোনার চেয়ে বাঁশি বাজানো ও গান গাওয়ার প্রতি তার অনুরাগ ছিল প্রবল। পরিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি গ্রামগঞ্জে গান গেয়ে বেড়াতেন। 
তিনি মরমি সাধক দুর্বিন শাহের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন ১৯৬২ সালে। গানের মধ্যে আধ্যাত্মিক দর্শন ও মানবতাবাদী বার্তা তুলে ধরতে শুরু করেন।

আরো পড়ুন:

শাবনূরের সঙ্গে কোন নায়ককে বেশি মানায়? জানালেন রিয়াজ

এবার একসঙ্গে প্রসেনজিৎ, শ্রাবন্তী, দর্শনা

খোয়াজ মিয়ার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে— ‘লাগাইয়া পিরিতের ডুরি আলগা থাকি টানেরে, আমার বন্ধু মহা জাদু জানে’, ‘আমার ভয় লাগিল মনেরে, ভয় লাগিল মনে, আমায় কোনদিন ধরিয়া নিবো যমে’,  ‘যাইও না যাইও না কন্যাগো, কইন্যা যাইও না নাইওর, তুমি বিনে কেমনে থাকি একেলা বাসর কন্যাগো’, ‘ভুবন-মোহন রূপ তোমারই, দেখলে প্রাণ জুড়ায়, আমার বাড়ি আয়রে বন্ধু, আমার বাড়ি আয়’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের পদকর্তা তিনি।

শুক্রবার সকাল ১০টায় দৌলতপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় এবং কলেজ মাঠে প্রয়াত বাউল খোয়াজ মিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব উল খ য় জ ম য় আম র ব

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের হত্যার ঘটনায় আর্টিকেল নাইনটিনের উদ্বেগ

দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। এ ঘটনার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইন অনুযায়ী জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ সোমবার আর্টিকেল নাইনটিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতার ঘটনা যখন বাড়ছে, তখন এ হত্যার ঘটনা ঘটল। এতে করে দেশটিতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো দ্রুত, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বাধীনভাবে তদন্তের এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়াটা উদ্বেগজনক। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুনগাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ ০৯ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো আইন পাস করেনি উল্লেখ করে আর্টিকেল নাইনটিন বলেছে, সাগর সরওয়ার, মেহেরুন রুনিসহ সাংবাদিকদের বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। এটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়িয়ে তুলছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ থেকে দায়মুক্তির একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠছে।

আরও পড়ুনমুঠোফোনে অস্ত্রধারীদের ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান, পরে তাঁকেই হত্যা করা হয়০৮ আগস্ট ২০২৫

মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা সব গণমাধ্যমকর্মী, নাগরিক অধিকারকর্মী এবং গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার ব্যক্তিদের জন্য উদ্বেগজনক। সাংবাদিকসহ সংবাদমাধ্যমের সব কর্মীকে সুরক্ষা দেওয়াটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

আরও পড়ুনময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা, মরদেহে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ