মাত্রাতিরিক্ত ঘু‌মের ওষুধ খে‌য়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ‌হি‌রো আলম‌কে উন্নত চি‌কিৎসার জন‌্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ থে‌কে ঢাকায় নিয়েছেন তার সা‌বেক স্ত্রী রিয়া ম‌নি ও কথিত স্ত্রী মিথিলা। শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল ৪টায় হাসপাতা‌ল কর্তৃপ‌ক্ষের সঙ্গে কথা ব‌লে হিরো আলমকে নিয়ে প্রাইভেটকা‌রে ক‌রে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তারা।

এর আগে অসুস্থ হি‌রো আলম‌কে দেখতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে আসেন রিয়া ম‌নি ও মি‌থিলা। তারা দুজ‌নেই হি‌রো আল‌মের পাশে ব‌সে তার মাথায় হাত বুলি‌য়ে দেন। প‌রে চি‌কিৎস‌কের সা‌থে কথা বলেন রিয়া ম‌নি। হি‌রো আল‌মের শারী‌রিক অবস্থার কথা জে‌নে তা‌কে ঢাকায় নি‌য়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। হাসপাতাল‌ থে‌কে রি‌লিজ লেটার নি‌য়ে হিরো আলম‌কে হুইলচেয়া‌রে ক‌রে হাসপাতাল‌ থে‌কে নি‌চে না‌মা‌নো হয়। প‌রে রিয়া ম‌নি ও মি‌থিলা‌দের নি‌য়ে আসা প্রাইভেট ক‌রে তা‌কে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়।

এদি‌কে, হিরো আলম অসুস্থ থাকায় এবং রিয়া ম‌নি ও মি‌থিলা কোনো কথা বলতে না চাওয়ায় তা‌দের বক্তব‌্য নেওয়া সম্ভব হয়‌নি। 

হি‌রো আলম যে বন্ধুর বা‌ড়িতে ঘু‌মের ওষুধ খে‌য়ে অসুস্থ হ‌য়ে‌ছেন, তি‌নি বলে‌ছেন, “গতকাল‌ ৩টায় হিরো আলম আমার বাড়িতে এসে রিয়া মনিকে নিয়ে হতাশার কথা ব‌লেন। তি‌নি যেখানে যান, সেখানে লোকজন তাকে বিরক্ত করেন, নানা প্রশ্ন করেন বলে জানান। একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে তিনি আমার এখানে এসেছিলেন। আমার ধারণা, রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশা থেকেই হিরো আলম এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

হিরো আলম‌কে শহীদ জিয়াউর রহমান মে‌ডি‌কেল হাসপাতাল‌ থে‌কে ঢাকায় নি‌য়ে যাওয়ার বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রেছেন হাসপাতা‌লটি উপ-প‌রিচালক। তিনি ব‌লেছেন, বিকেল ৪টার দিকে রিয়া ম‌নি হি‌রো আলম‌কে ঢাকায় চি‌কিৎসা করানোর কথা ব‌লে হাসপাতাল থে‌কে রি‌লিজ ক‌রে নি‌য়ে গে‌ছেন।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে হিরো আলমকে তার বন্ধুর বা‌ড়ির শয়নকক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে নেওয়া হয় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকা/এনাম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আলম ক

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়বে না: শেখ বশিরউদ্দীন

ভারত আরও চারটি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়নি। দুই দেশের মধ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্যের আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি মেটানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে দর–কষাকষি চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ। সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে ১৫ শতাংশের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমস্যা থাকলেও এতটা অস্থিতিশীল নয় যে ব্যবসা–বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে। তাই রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে তাতে সমস্যা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের নতুন বিধিনিষেধের আওতায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটের পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করতে পারবেন না। শুধু দেশটির মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ আছে। এমন বিধিনিষেধ দিয়ে গতকাল সোমবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে গত কয়েক মাসে কয়েক দফায় অশুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেয় দেশটি। তার আগে ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে দেশটি।

এদিকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভারত বাতিল করার এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে। এর আগে বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ