এর পরও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেওয়ার চেষ্টা হলে কঠোর আন্দোলন
Published: 27th, June 2025 GMT
চার প্রধান দাবিতে রাজধানী থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম অভিমুখী রোডমার্চ কুমিল্লায় পৌঁছেছে। দেশের বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ ব্যানারে আয়োজিত এই লংমার্চ আজ শুক্রবার সন্ধ্যার আগে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে এসে পৌঁছায়। পরে রাত পৌনে আটটার দিকে সেখানে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জনসভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিমণ্ডলীর কাজী সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদের কোনো দালালকে বাংলাদেশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না। আমাদের এই রোডমার্চের তথ্য এতক্ষণে নিশ্চয়ই প্রধান উপদেষ্টার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে। যদি এর পরও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। আমাদের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী এই আন্দোলন দীর্ঘদিনের।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে আপনার চেয়ে বড় বড় প্লেয়ার দেশকে সাম্রাজ্যবাদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল; কিন্তু আমাদের আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত তাঁরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। হাসিনা, খালেদা, এরশাদ—কেউই সফল হয়নি, আপনি তো অনেক পরের প্লেয়ার।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কুমিল্লা জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাত আলীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের আহ্বায়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও গণতান্ত্রিক বাম জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সমন্বয়ক মাসুদ খান, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহিনউদ্দীন চৌধুরী, সচেতন রাজনৈতিক ফোরামের কুমিল্লার সমন্বয়ক শেখ আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোমেন প্রমুখ।
সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের’ রোডমার্চের জনসভার একাংশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র সমন বয়ক
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিহারে ভোট কিনতে ব্যবহার হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপি’
ভারতের বিহার রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। দেশটির সাবেক ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়েছে।
জন সুরাজ পার্টির দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিশ্বব্যাংক যে ১৪ হাজার কোটি রুপি দিয়েছিল, তা ভোটে জিততে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অর্থ থেকেই নীতীশ কুমারের সরকার ‘মুখ্যমন্ত্রী রোজগার যোজনা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি ২৫ লাখ নারীকে ১০ হাজার রুপি দিয়েছে।
দলের জাতীয় সভাপতি উদয় সিংহ বলেন, “নির্বাচনের ফলাফলকে কেনা হয়েছে। ২১ জুন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে। জনগণের অর্থ ব্যবহার করে জনগণের ভোট কেনা হয়েছে। আমি এটাও জানলাম যে, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া রুপি নগদ অর্থবিলিতে ব্যবহার করা হয়েছে।”
চলতি সপ্তাহে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। ২৪৩ সদস্যের বিধানসভার মধ্যে এনডিএ ২০২টি আসন জিতেছে, যার মধ্যে বিজেপি ৮৯টি, জেডিইউ ৮৫টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) ১৯টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা পাঁচটি এবং রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা চারটি আসন পেয়েছে। আরজেডি-নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধন মাত্র ৩৫টি আসন পেয়েছে।
তবে রাজ্যের নতুন দল জন সুরাজ পার্টি একটি আসনেও জয় পায়নি।
ঢাকা/শাহেদ