রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
Published: 29th, June 2025 GMT
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ১৮ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এ বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার ২২৫ টাকা, বাজেটে উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৪ হাজার ৭৭৫ টাকা।
রবিবার (২৯ জুন) বিকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ বাজেট ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.
সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, “এই বাজেট প্রণয়নে আমাদের লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন ও সেবার সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো এবং কৃষিখাতসহ প্রতিটি সেক্টরে সমান গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবভিত্তিক বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। রূপগঞ্জের জনগণের অংশগ্রহণে এ বাজেট কার্যকর ও জনমুখী হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
বাজেট অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি, পূর্বাচল রাজস্ব) তাসবির হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সজল কুমার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাজেটের সঠিক ব্যয় নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপগঞ্জকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে মতামত দেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি
চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।
এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।
আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।
এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।