ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর ফিলিস্তিনের গাজায় থাকা ৪৯ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে গতকাল শনিবার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা গাজায়ও যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন।

ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর ২৪ জুন যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় ইসরায়েল। এরপর এটিই ছিল গাজায় আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে প্রথম বড় সমাবেশ। আশা করা হচ্ছে, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি গাজা যুদ্ধ শেষ করার ও আটক ব্যক্তিদের ঘরে ফেরানোর প্রচেষ্টায় গতি আনবে।

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ইসরায়েলে জমায়েতের ওপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। এর কারণে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে সচরাচর প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

গতকাল ‘হস্টেজ স্কয়ার’ হিসেবে পরিচিত তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে বিপুলসংখ্যক মানুষ সমবেত হন। তাঁদের ইসরায়েলি পতাকা ও হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার সময় অপহৃতদের ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে।

ওই ভয়াবহ হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন। তিনি হামাসকে নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন।

গাজায় ইসরায়েলের হামলার ২০ মাস পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েক দফা বন্দিবিনিময়ও হয়েছে। কিন্তু এখনো গাজায় অন্তত ৪৯ জন জিম্মি রয়ে গেছেন। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন বেঁচে নেই বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছে।

বিক্ষোভ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে ‘হস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ বলেছে, ‘ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হয়েছে। গাজার যুদ্ধও একইভাবে শেষ হওয়া উচিত। এই যুদ্ধ এমন একটি চুক্তির মাধ্যমে শেষ করতে হবে, যাতে সবাই (জিম্মি) ঘরে ফেরে।’

কয়েকজন বিক্ষোভকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাঁরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে জিম্মিরা মুক্তি পেতে পারেন। তাঁরা ইরানের সঙ্গে সংঘাতে ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের সমর্থনের প্রশংসা করেন।

একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, গাজা সংকট শেষ করুন। নোবেল অপেক্ষা করছে।’ এখানে ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের নেতা হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের সম্ভাবনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

গাজার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া লিরি আলবাগ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা ইরানের (বিষয়ে) সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন গাজার যুদ্ধে সমাপ্তি টানায় সাহসী সিদ্ধান্ত নিন এবং তাঁদের (জিম্মিদের) বাড়িতে ফিরিয়ে আনুন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি মেলানিয়া ট্রাম্পের

মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। মেলানিয়াকে যৌন পাচারকারী জেফরি এপস্টাইনের সাথে সম্পৃক্ত করে হান্টার মন্তব্য করায় এই হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সাবেক মার্কিন অর্থ ব্যবস্থাপক জেফরি এপস্টাইনের বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও নারী পাচারের অভিযোগ ছিল। ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট তাকে ম্যানহাটনের একটি কারাগারে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃতদেহ পরীক্ষা করে জানা যায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

সম্প্রতি হান্টার বাইডেন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সাথে মেলানিয়ার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এপস্টাইন। তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল। বাইডেন এই দাবির জন্য লেখক মাইকেল উলফকে দায়ী করেছেন।

মেলানিয়া ট্রাম্পের আইনজীবী আলেজান্দ্রো ব্রিটো বাইডেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে লিখেছেন, বিবৃতিগুলি মিথ্যা, মানহানিকর। হান্টার বাইডেন যদি তার মন্তব্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে ফাস্টলেডি মানহানির মামলা করবেন।

ট্রাম্প ও মেলানিয়া দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন ১৯৯৮ সালে নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইক পার্টিতে মডেলিং এজেন্ট পাওলো জাম্পোলি তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ