যুক্তরাষ্ট্রে আগুন নেভানোর সময় ২ দমকলকর্মীকে গুলি করে হত্যা
Published: 30th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য আইডাহোর পাহাড়ি অঞ্চলে আগুন নেভানোর সময় দুই ফায়ারফাইটারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির
কোতেনাই কান্ট্রি শেরিফ অফিস রবার্ট নরিস জানিয়েছেন, একজন বন্দুকধারী কোউর ডিঅ্যালেন শহরের কাছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাইফেল ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। যখন আমরা কথা বলছিলাম তখন স্নাইপার গুলি চালায়। কর্মকর্তারাও একাধিক স্থান থেকে গুলি আসার খবর জানায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়।
এফবিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর ড্যান বঙ্গিনো বলেন, তাদের সদস্যরা কৌশলগত এবং প্রতিরোধমূলক সহায়তা দিচ্ছে। গভর্নর ব্রাড লিটল বলেন, বন্দুকধারীর গুলিতে একাধিক ফায়ারফাইটার কর্মী আহত হয়েছেন।
এক্স পোস্টে গভর্নর বলেন, আমাদের সাহসী ফায়ারফাইটারদের ওপর জঘন্য হামলা হয়েছে। এজন্য আমি পুরো আইডাহোর বাসিন্দাদের ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া আমরা এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছি।
তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে আরও বলেন, ‘যেহেতু পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হচ্ছে, এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও ফায়ারফাইটার কর্মীদের থেকে দূরে থাকুন এবং তাদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করুন।’
রোববার শেরিফ নরিস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা জানি না ঘটনাস্থলে একজন, দুজন, তিনজন নাকি চারজন বন্দুকধারী রয়েছে। কারণ, ঘটনাস্থল কেন্দ্রীয় কোউর ডিঅ্যালেন থেকে সাড়ে ছয় কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। আমরা ধারণা করছি, অন্তত দুজন ফায়ারফাইটার কর্মী নিহত হয়েছে।
নরিস বলেন, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২২ মিনিটের দিকে বনে আগুন লাগার খবর আসে। এরপর দুপুর ২টার দিকে ফায়ারফাইটারদের ওপর গুলির খবর আসে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
পিএসজিকে বিদায় দোন্নারুম্মার, এনরিকে বললেন ‘আমি দায়ী’
পিএসজি থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন দোন্নারুম্মা। বুধবার টটেনহামের বিপক্ষে উয়েফা সুপার কাপের জন্য ঘোষিত পিএসজির স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ার পর ইনস্টাগ্রামে তিনি নিজের এ সিদ্ধান্ত জানান।
আবেগঘন এক পোস্টে দোন্নারুম্মা লিখেছেন, ‘প্রথম দিন থেকেই দলে জায়গা পেতে এবং প্যারিসের গোলপোস্ট রক্ষায় মাঠে ও মাঠের বাইরে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ একজন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি আর দলের অংশ হতে পারব না এবং দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারব না। এতে আমি হতাশ ও বেদনাহত।’ এ কারণেই দোন্নারুম্মা পিএসজি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে পিএসজি কোচ লুইস এনরিক জানান, দোন্নারুম্মাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য তিনিই শতভাগ দায়ী। তাঁর ভাষায়, ‘দোন্নারুম্মা বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকদের একজন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষ হিসেবে তিনি আরও ভালো। কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের জীবন এমনই। আমি এ সিদ্ধান্তের জন্য শতভাগ দায়ী। দলে যে প্রোফাইলের গোলরক্ষক প্রয়োজন, সেই চাহিদার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের নায়ক দোন্নারুম্মা কি পিএসজি ছাড়ছেন১২ আগস্ট ২০২৫গত শনিবার পিএসজি লিল থেকে গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে কিনেছে। ইএসপিএন জানিয়েছে, ৪ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফি ও অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর সম্ভাব্য বোনাস মিলিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। সূত্রগুলো বলছে, শেভালিয়েকে আনা হয়েছে ক্লাবের নতুন নাম্বার ওয়ান গোলকিপার হিসেবে। ফলে পিএসজিও চাচ্ছিল দোন্নারুম্মা যেন অন্য কোথাও নিজের ঠিকানা খুঁজে নেন।
চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইন্টার মিলান—এই তিন ক্লাব এরই মধ্যে দোন্নারুম্মার এজেন্ট এনজো রাইওলার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা গেছে। পিএসজি আশা করছে, এর মধ্যে কোনো একটি দল আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেবে।
২৬ বছর বয়সী দোন্নারুম্মার সঙ্গে পিএসজির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে বাকি মাত্র এক বছর। তিনি চুক্তি নবায়নের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি। মাসে ৮ লাখ ৫০ হাজার ইউরো বেতন পাওয়া এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক আরও বেশি পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন। কিন্তু গত দুই বছরে ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোস যে নতুন বেতনকাঠামো চালু করেছেন, সে কাঠামো অনুযায়ী দোন্নারুম্মার প্রস্তাব পিএসজি গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুন গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন০৩ আগস্ট ২০২৫গত মৌসুমে লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত সেভ করে পিএসজির প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে বড় অবদান রেখেছেন দোন্নারুম্মা। তবে এরপরও কোচ লুইস এনরিকে চাইছিলেন এমন এক গোলরক্ষক, যিনি বল পায়ে বেশি স্বচ্ছন্দ ও বল সরবরাহে দক্ষ। এ গুণগুলোই শেভালিয়ের মধ্যে দেখতে পেয়েছেন স্প্যানিশ এই কোচ।
সেরা গোলকিপারের ইয়াশিন ট্রফিও জিতেছিলেন দোন্নারুম্মা।