ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই ক্যাটাগরির পদে মোট চারজন নিয়োগ দেওয়া হবে।

১. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা:

বিভাগ: রেজিস্ট্রারের অফিস (শিক্ষা-২)

যোগ্যতা: প্রার্থীকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি/সিজিপিএ ৪ স্কেলে ২.৭৫ সহ স্নাতক/সমমান পাস হতে হবে। প্রার্থীর শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগ/জিপিএ–৩.

০০ (৫.০০ স্কেলে) এবং দ্বিতীয় শ্রেণি/সিজিপিএ–২.৭৫ (৪.০০ স্কেলে)-এর নিচে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রার্থীকে সরকারি বা সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে ছয় মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে। অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যেকোনো একটি শর্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

২. পদের নাম: ড্রাইভার

পদসংখ্যা:

বিভাগ: পরিবহন অফিস

যোগ্যতা: প্রার্থীকে ন্যূনতম এসএসসি/সমমান পাস হবে হবে। প্রার্থীর শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগ/জিপিএ–৩.০০ (৫.০০ স্কেলে) এবং দ্বিতীয় শ্রেণি/সিজিপিএ–২.৭৫ (৪.০০ স্কেলে)-এর নিচে গ্রহণযোগ্য নয়। ড্রাইভিংয়ে বিআরটিএর লাইসেন্সধারী হতে হবে। প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যেকোনো একটি শর্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

যেভাবে আবেদন
সব পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেট ও প্রশংসাপত্রের সত্যায়িত প্রতিলিপিসহ সাদা কাগজে প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ করে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই আবেদনপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি
রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে ৩০০ টাকা মূল্যের ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার (পোস্টাল অর্ডার গ্রহণযোগ্য নয়) করতে হবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের আবেদনপত্র রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসে এবং ড্রাইভার পদের আবেদনপত্র পরিবহন ম্যানেজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে পৌঁছাতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়
২৩ জুলাই ২০২৫।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১২ দিনের নতুন কর্মসূচি দিল জামায়াত

জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে ১ থেকে ১২ অক্টোবর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর আগে একই দাবিতে সেপ্টেম্বর মাসে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল দলটি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত

ক্ষমতায় গেলে কাউকে দাবি নি‌য়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না: জামায়াতের আমির

পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জামায়াত ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো-
৫ দফা দাবির পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে গণসংযোগ। এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা। গোলটেবিল বৈঠক। সেমিনার ইত্যাদি।

এছাড়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১০ অক্টোবর রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কাছে  স্মারকলিপি পেশ।

যে পাঁচ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলো হলো-জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা। আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

এতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে জোরাল ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি' হিসেবে অতীতের বিভিন্ন নজির ও উদাহরণ তুলে ধরে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তির বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান বারবার ব্যক্ত করে আসছে। এ লক্ষ্যে জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তি দেওয়ার জন্য আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জামায়াত ইতোমধ্যে সরকারের কাছে দুটি প্রস্তাব করেছে।

প্রথমত, জুলাই জাতীয় সনদের জন্য ‘সংবিধান আদেশ' জারি করা। দ্বিতীয়ত, এই সনদের অধিকতর আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য নির্বাচনের আগে গণভোট করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সেটা না হলে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ছাড়া ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থান ও তার অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে।

জনগণের দাবিগুলো কার্যকর করতে সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে জানিয়েছে জামায়াত।

জামায়াতের এর আগে ঘোষণা করা পাঁচ দফা জনগণের কাছে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি। তাই জনগণের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করার দাবি জানিয়েছে জামায়াত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম ও হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাইফুল আলম খান, মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাবিতে হল সংসদ নেত্রীসহ ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ
  • বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, পদ ৩৪
  • ১২ দিনের নতুন কর্মসূচি দিল জামায়াত
  • মার্কিন ‘আগ্রাসনের’ হুমকি, জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত ভেনেজু
  • ১ থেকে ১২ অক্টোবর নতুন কর্মসূচি দিল জামায়াত