‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জি’ (এনআরসি) আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসীর। ভারতের আসাম রাজ্যে সরকারের তরফে উত্তম কুমারকে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে উপযুক্ত নথি দেখাতে না-পারলে তাকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে। 

গত কয়েক দশক ধরে বংশ-পরম্পরায় দিনহাটার চৌধুরীহাটে বসবাস করে আসছেন উত্তম। জীবনের ৫০ বছর বয়সে এসেও কোচবিহারের বাইরে যাননি তিনি। অথচ আসাম রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দিনহাটার চৌধুরীহাটের সাদিয়াল কুঠি এলাকার উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে পাঠানো হলো অবৈধ অনুপ্রবেশের নোটিশ!

এই বিষয়ে উত্তম কুমার ব্রজবাসী বলেন, “গত জানুয়ারি মাসে পুলিশ প্রশাসন মারফত তার বাড়িতে একটি এনআরসি সংক্রান্ত চিঠি আসে। এরপর আমি প্রতিবেশীদের সেই চিঠিটি দেখালে জানতে পারি যে আসাম সরকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আমাকে চিহ্নিত করে নোটিশটি পাঠিয়েছে। এবং গুয়াহাটি থেকে এই নোটিশ এসেছে।”  

আরো পড়ুন:

রাশমিকার সঙ্গে জুটি বাঁধতে বিজয়ের কেন আপত্তি?

কবি নজরুলের স্মৃতিচিহ্ন কোথায় থাকবে? মুখোমুখি একাডেমী ও বিশ্ববিদ্যালয়

তিনি আরো বলেন, “আসামে আমার কোনো আত্মীয় নেই। তাছাড়া আমি কোনোদিন সেখানে যাইওনি। আমার জন্ম দিনহাটায়, আমার বাবার জন্মও এখানে। কিন্তু তারপরেও এনআরসির কাগজ পাঠানো হয়েছে। এরপরে আমি আইনজীবী ধরে আসামে আমার সমস্ত নথি পাঠিয়েছিলাম। তারা আমার কাছ থেকে ১৯৬৩ সালের কাগজ চেয়েছিল কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন আমাকে সেই কাগজ দিতে পারেনি।” 

পুরো বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “উত্তম কুমার ব্রজবাসি শুধু ভারতীয় নাগরিকই নন, তিনি তপশিলি তালিকাভুক্ত নাগরিক।” মন্ত্রীর প্রশ্ন, “আসামের কামরূপ জেলার পুলিশ সুপার কোন সাহসে কোচবিহারের দিনহাটার নাগরিককে এনআরসি সংক্রান্ত চিঠি পাঠায়?” 

মন্ত্রীর বলেন, “এখানকার স্থানীয় নাগরিককে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে পুশব্যাক করে সেটা আমরা দেখে নেব।”  উত্তম কুমার ব্রজবাসীর বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বিষয়টা খোঁজখবর নেবেন বলেও আশ্বাস দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।  

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে যান ‘নিখোজ’ জনতা ব্যাংকের ডিজিএম: পুলিশ

বাসায় ফিরেছেন রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে ‘নিখোঁজ’ জনতা ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুশফিকুর রহমান। আজ রোববার সকালে তিনি বাসায় ফেরেন। পরিবারের বরাতে খিলক্ষেত থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন সমকালকে জানান, জনতা ব্যাংকের ডিজিএম মুশফিকুর রহমান আজ রোববার সকালে বাসায় ফিরেছেন। ভুল করে বাসায় মুঠোফোন রেখে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর কুয়াকাটায় ঘুরতে যান।

এর আগে গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে মুশফিকুরের কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। এ ঘটনায় মুশফিকুরের সন্ধান চেয়ে তার পরিবার খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম (মানব সম্পদ বিভাগ) মুশফিকুর রহমান নান্নু (৫৮) খিলক্ষেতের বাসা থেকে নিখোঁজ হন। এরপর তার পরিবার গতকাল শনিবার খিলক্ষেত থানায় সাধারণ ডায়েনি (জিডি) করেন।

ওসি সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, মুশফিকুর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মোবাইল ফোন সঙ্গে করে নিয়ে যাননি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাসার পাশের মসজিদে তিনি প্রবেশ করেননি।

মুশফিকুরের ভাই জিয়াউর রহমান জানান, তার বড় ভাই জনতা ব্যাংকের মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম। তাদের বাসা খিলক্ষেত পূর্ব নামাপাড়ায়। টানা তিন দিন (ব্যাংক) বন্ধ থাকায় তিনি (মুশফিকুর) কুয়াকাটায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় ভুল করে মোবাইল ফোন রেখে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার গাড়ি মিস করেছেন, এজন্য পরদিন ফিরতে পারেননি। গতকাল শনিবার বিকেলে আমাদের বিষয়টা জানান। এরপর আজ সকালে তিনি বাসায় ফিরে এসেছেন। একটা ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অক্সফোর্ডে পড়ে চাকরি মেলেনি, যে সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক
  • সাড়ে ৫ বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই দুই শিক্ষার্থী
  • অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শেষে ফুড ডেলিভারির চাকরি
  • লারার রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা না করেই কেন ইনিংস ঘোষণা, জানালেন মুল্ডার
  • এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা কতটা নির্ভুল
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন ‘নিখোঁজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে যান ‘নিখোজ’ জনতা ব্যাংকের ডিজিএম: পুলিশ