যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ফুড ডেলিভারির কাজ করছেন চীনের এক ব্যক্তি। জুতসই চাকরি না পেয়ে কঠোর পরিশ্রমের এই পেশা বেছে নিয়েছেন তিনি। নিজের পরিশ্রমের গল্প সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে পোস্ট করে তরুণদের উৎসাহ জোগাচ্ছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে।

চীনের ওই ব্যক্তির নাম দিং ইউয়াংঝু (৩৯)। তাঁর বাড়ি চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে। ২০০৪ সালে চীনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেন। এই পরীক্ষা গাওকাও নামে পরিচিত।

এরপর সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক পাস করেন দিং। চীনের আরেকটি সম্মানজনক বিশ্ববিদ্যালয় পিকিং ইউনিভার্সিটি থেকে জ্বালানি প্রকৌশল নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

দিং ইউয়াংঝুর উচ্চশিক্ষা এখানেই থেমে যায়নি। এরপর সিঙ্গাপুরের নানাইয়াং টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর শীর্ষস্থানীয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববৈচিত্র্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

পড়াশোনা শেষ করে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরাল গবেষক হিসেবে কাজ করেন ইউয়াংঝু। গত মার্চে তাঁর চাকরির চুক্তি শেষ হয়ে যায়। চাকরি হারানোর পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একাধিক জীবনবৃত্তান্ত পাঠান। অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানে মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার ডাক পান। কিন্তু কোথাও ভালো চাকরি মেলেনি।

উপায়ন্তর না দেখে ইউয়াংঝু সিঙ্গাপুরের একটি ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানে কর্মী হিসেবে নিবন্ধন করেন।

দিং ইউয়াংঝু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাকরি নিয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এটা একটা স্থায়ী চাকরি। এই আয় দিয়ে আমি পরিবারকে সাহায্য করতে পারি।’

কয়েক মাস পর ইউয়াংঝু সিঙ্গাপুর থেকে আবার চীনে ফিরে যান। বর্তমানে বেইজিংয়ের মেইতুয়ানে একজন ফুড ডেলিভারি কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। মেইতুয়ান হলো চীনের একটি শীর্ষস্থানীয় কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম।

চীনে প্রতিবছরের জুনে গাওকাও পরীক্ষা হয়। মাস শেষে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি ইউয়াংঝু একটি ভিডিও পোস্ট করে গাওকাও পরীক্ষা শেষ করা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ইনজুরিতে শান্ত, রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। তবে এরই মাঝে দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর চোট। ফিল্ডিংয়ের সময় ডাইভ দিতে গিয়ে তিনি পায়ের মাংসপেশিতে (কোয়াড্রিসেপসে) আঘাত পান।

চোট পাওয়ার পর মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর আর মাঠে নামেননি। বর্তমানে বরফ দেয়া ও বিশ্রামে রেখে তার চিকিৎসা চলছে। বিসিবির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শান্তকে আপাতত ২৪ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এরপর এক্স-রে করানো হতে পারে।

জানুয়ারি মাসেও শান্ত একই ধরনের ইনজুরিতে পড়েছিলেন। তখন দীর্ঘ বিশ্রাম শেষে তিনি দলে ফিরেছিলেন। আজ শান্তর অবস্থা আবারও মূল্যায়ন করবে দলের মেডিকেল টিম। এরপরই জানা যাবে তিনি ক্যান্ডিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলতে পারবেন কিনা।

আগামী ৮ জুলাই পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। প্রথম দুই ম্যাচ শেষে সিরিজ ১-১ সমতায় থাকায় এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে সিরিজের ভাগ্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অক্সফোর্ডে পড়ে চাকরি মেলেনি, যে সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক
  • সাড়ে ৫ বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই দুই শিক্ষার্থী
  • লারার রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা না করেই কেন ইনিংস ঘোষণা, জানালেন মুল্ডার
  • এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা কতটা নির্ভুল
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন ‘নিখোঁজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন জনতা ব্যাংকের ‘নিখোজ’ ডিজিএম
  • পরিবারকে না জানিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে যান ‘নিখোজ’ জনতা ব্যাংকের ডিজিএম: পুলিশ
  • ইনজুরিতে শান্ত, রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে