ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরে বাস, মাইক্রোবাস ও পিকআপের ত্রিমুখি সংঘর্ষে শ্বশুর-পুত্রবধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে ঢাকাগামী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রমকান্তপুরের মৃত ধলা বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ বিশ্বাস (৫৫) ও তার ছেলে মামুন বিশ্বাসের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (২৮)। তারা সম্পর্কে শ্বশুর ও পুত্রবধূ। মাইক্রোবাসে করে পরিবারের সদস্যরা রাজধানী ঢাকায় যাচ্ছিলো বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে ফরিদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে পৌঁছলে একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে সেটি সজোরে ধাক্কা দেয়। একই সময় মাইক্রোবাস ও কাভার্ডভ্যানটিকে একটি যাত্রীবাহী বাসও পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। 

এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের যাত্রী ফিরোজা বেগম ও তার শ্বশুর মাসুদ বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। এছাড়া মাইক্রোবাস ও যাত্রীবাহী বাসের আরো ১০ যাত্রী আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে হাইওয়ে পুলিশ।

মাদারীপুরের শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা গেছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ বচর হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫