মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গর্ভনররা।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইফার ৫ জন গভর্নরকে। তাদেরকে প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত কেন্দ্রসমূহের শিক্ষার গুণগতমান ও কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইফার সভাকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের ২২৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাজনৈতিক সংকটের জন্য শতভাগ দায়ী ছিলেন খায়রুল হক: ফখরুল

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যুর তদন্ত ও বিচারের দাবিতে একাট্টা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারম্যান ও ধর্ম উপদেষ্টা ড.

আ ফ ম খালিদ হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট এবং চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। এছাড়া আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের আধুনিকায়নের ডিপিপি প্রণয়ন, হালাল সনদের ফি পুনঃনির্ধারণ,  ইফার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি, ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের কার্যক্রম ও হিসাব পরিচালনা এবং ইসলামিক মিশন সেন্টার স্থাপনসহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

সভায় বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মো. নূরুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আওলাদে রাসূল (সা.) শায়েখ মাওলানা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহির জাবেরী, চরমোনাই আহছানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, ঢাকার জামেয়া রহমানিয়া আরাবিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ভাইস প্রিন্সিপাল ড. খলিলুর রহমান মাদানী ও পটুয়াখালীর ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম প রকল প র পর চ ল মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন