বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪২, আইসিউতে ৮: পরিচালক
Published: 24th, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন মোট ৪২ জন। এর মধ্যে ৮ জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। যাদের ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২ জনকে আইসিইউ থেকে ইন্টারমিডিয়েট লেভেলে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। ১৩ জন রোগীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা.
তিনি বলেন, “দগ্ধদের জন্য এই মুহূর্তে কোনো রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই।”
আরো পড়ুন:
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: আরো এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: ডিএনএ টেস্টে ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, “চিকিৎসার বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিচ্ছি। সিঙ্গাপুর এবং ভারতের বিশেষজ্ঞরা আমাদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। চীনের চিকিৎসকদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয়েছে। তারা শিগগিরই আমাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবেন।”
তিনি বলেন, “বিশ্বের যেকোনো দেশ যদি চিকিৎসা সহায়তায় আগ্রহ প্রকাশ করে, আমরা তাদের স্বাগত জানাব। কোনো দ্বিধা ছাড়াই আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই। যে কেউ সহায়তা করতে চাইলে আমরা তাদের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রমে কাজে লাগাব।”
দগ্ধদের জন্য আর রক্ত কিংবা স্কিন ডোনেশনের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে পর্যাপ্ত স্কিন এবং রক্ত রয়েছে। আবার অনেকেই বিকাশ বা নগদে অর্থ পাঠাতে চাচ্ছেন। আমরা তাদের সদিচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তবে এখনই সাধারণ জনগণের অর্থ সহায়তার প্রয়োজন নেই। সরকারি পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা রয়েছে।”
এখন পর্যন্ত দগ্ধদের মধ্যে ১৩ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে সকালে মিটিং করেছি, বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব সহায়তা করা হচ্ছে।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট