রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন মোট ৪২ জন। এর মধ্যে ৮ জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। যাদের ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২ জনকে আইসিইউ থেকে ইন্টারমিডিয়েট লেভেলে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। ১৩ জন রোগীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা.

নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, “দগ্ধদের জন্য এই মুহূর্তে কোনো রক্ত ও স্কিনের প্রয়োজন নেই।”

আরো পড়ুন:

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: আরো এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: ডিএনএ টেস্টে ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, “চিকিৎসার বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিচ্ছি। সিঙ্গাপুর এবং ভারতের বিশেষজ্ঞরা আমাদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। চীনের চিকিৎসকদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয়েছে। তারা শিগগিরই আমাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবেন।”

তিনি বলেন, “বিশ্বের যেকোনো দেশ যদি চিকিৎসা সহায়তায় আগ্রহ প্রকাশ করে, আমরা তাদের স্বাগত জানাব। কোনো দ্বিধা ছাড়াই আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই। যে কেউ সহায়তা করতে চাইলে আমরা তাদের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রমে কাজে লাগাব।”

দগ্ধদের জন্য আর রক্ত কিংবা স্কিন ডোনেশনের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে পর্যাপ্ত স্কিন এবং রক্ত রয়েছে। আবার অনেকেই বিকাশ বা নগদে অর্থ পাঠাতে চাচ্ছেন। আমরা তাদের সদিচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তবে এখনই সাধারণ জনগণের অর্থ সহায়তার প্রয়োজন নেই। সরকারি পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা রয়েছে।”

এখন পর্যন্ত দগ্ধদের মধ্যে ১৩ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে সকালে মিটিং করেছি, বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব সহায়তা করা হচ্ছে।”

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ