‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠান ঘিরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তি
Published: 4th, August 2025 GMT
‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ ও দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এ আয়োজনকে ঘিরে ব্যাপক জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ দিয়ে চলাচলকারী গণপরিবহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে এবং নগরবাসীকে এসব এলাকার সড়ক এড়িয়ে চলতে অনুরোধ জানিয়েছে।
আজ সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত এসব আয়োজন চলবে। বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর সংগীত পরিবেশনা, বেলা সোয়া দুইটায় ফ্যাসিস্টের পলায়ন উদ্যাপন, পাঁচটায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশেষ ড্রোন শো এবং রাত ৮টায় আর্টসেল ব্যান্ডের পরিবেশনা হবে। এ আয়োজন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা এবং মানিক মিয়ার অ্যাভিনিউয়ে প্রচুর জনসমাগম হবে। অনুষ্ঠান চলাকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ দিয়ে যানবাহন চলাচল করানো সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় নগরবাসীকে এই এলাকার সড়ক এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
কোন পরিবহন কোন সড়ক দিয়ে চলবে
অনুষ্ঠান চলাকালে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘মিরপুর বা মোহাম্মদপুর থেকে আসা যানবাহনকে আড়ং ক্রসিংয়ে বামে মোড় না নিয়ে সোজা ধানমন্ডি-২৭ হয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়া সায়েন্সল্যাবের দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো মানিক মিয়ার অ্যাভিনিউয়ের দিকে না গিয়ে সোজা গণভবন ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি হয়ে চলাচল করবে।’
ফার্মগেটের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ধানমন্ডিগামী যানবাহনকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে না গিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং ও লেক রোড হয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হচ্ছে। সম্ভব হলে ফার্মগেট এক্সিট (বাহির) র্যাম্প এড়িয়ে এফডিসি (হাতিরঝিল) র্যাম্প ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।’
ফার্মগেট থেকে মিরপুরের দিকে আসা গাড়িগুলো মানিক মিয়া এভিনিউয়ের দিকে না গিয়ে সোজা বিজয় সরণি হয়ে চলাচলের জন্য বলা হয়েছে। মিরপুর থেকে ফার্মগেটগামী যানবাহনকে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি হয়ে চলাচলের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিকল্প রুট হিসেবে আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা পর্যন্ত এই সড়ক ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে পার্কিং নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে আসা দর্শনার্থীদের গাড়ি আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করতে অনুরোধ করা হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব যবহ র অন র ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
আরো পড়ুন:
মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।”
প্রধান উপদেষ্টা ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/সাইফ