নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনকে নির্বাচন কমিশন দ্বারা ২ ভাগে (সিটি কর্পোরেশন ও বন্দর উপজেলা) বিভক্ত করে বন্দর  উপজেলাকে সোনারগাঁয়ে অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টায় বন্দর উপজেলা চত্তরে বন্দরবাসী  আয়োজনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ  অনুষ্ঠিত হয় ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তরা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নসহ নির্দিষ্ট কয়েকটি ওয়ার্ড একত্রে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি প্রশাসনিক, ভৌগোলিক এবং জনসংখ্যার দিক থেকে যথার্থ ও কার্যকর একটি সীমানা ছিল। কিন্তু এবার যে প্রস্তাবনা প্রকাশ করা হয়েছে, তা অখণ্ডতা নষ্ট করে এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী।

বক্তারা আরও বলেন, বন্দর উপজেলা একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক এলাকা। এর পূর্বে ব্রহ্মপুত্র এবং পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা নদী দ্বারা এটি প্রাকৃতিকভাবে বিভক্ত ও সুনির্দিষ্ট একটি অঞ্চল। এই ধরনের ঐতিহাসিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক ভিত্তিকে উপেক্ষা করে সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হলে জনগণ ভোগান্তির শিকার হবে এবং প্রশাসনিক সেবা ব্যাহত হবে। জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ এর ধারা ৬(২) অনুযায়ী আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় নেওয়ার কথা থাকলেও এই খসড়ায় তা মানা হয়নি। বরং কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ঘ, ঙ, জ, ঞ, ট ক্রমিকের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ঘটেছে।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত সীমানা পুনর্বিবেচনা করে বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন আগের মতোই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বহাল রাখার। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর একটি লিখিত আপত্তিপত্র দাখিল করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সাবেক সহ সভাপতি হাজী নূর উদ্দিন আহাম্মেদ এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য এডঃ শিপলু, শহিদুল ইসলাম রিপন,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বন্দর থানা শাখার নেতা আবির,বন্দর পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের সিনিয়র সাংবাদিক সাব্বির আহাম্মদে সেন্টু, নাগরিক ঐক্য বন্দর থানা শাখার সভাপতি মাহাবুব চৌধুরী, বন্দর থানা বিএনপি নেতা নূর মোহাম্মদ পনেছ, মেজবা উদ্দিন স্বপন, মোঃ সেলিম মিয়া, হাবিব মেম্বার, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল,বন্দর থানা বিএনপি নেতা ফারুক চৌধুরী, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী নওশাদ তুষার, বন্দর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম প্রমুখ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্য বন্দর থানা শাখার সভাপতি বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, বিএনপি নেতা শহীদ মেম্বার,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাধারন সম্পাদক ফরিদ হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি  নেতা মোজাম্মেল, আশাবুদ্দিন, সোহেল, পোকন, বন্দর থানা যুবদল নেতা কাজী সোহাগসহ বন্দরে সর্বস্তরের সাধারন জনগন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ কল গ ছ য় ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিরাপত্তাকর্মী ছাঁটাইয়ের চেষ্টা

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ৩২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে অপসারণের চেষ্টার প্রতিবাদে শনিবার (২ আগস্ট) সকালে মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বন্দরের আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

এ দিন সকাল সাড়ে ১১টায় স্থলবন্দরের প্রধানগেট বন্ধ করে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করে নিরাপত্তাকর্মীরা। আকস্মিক এই কর্মসূচির ফলে বন্দরের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম থমকে যায়, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।

বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর থেকে দিনে ২৪ ঘণ্টা বন্দরের ব্যবসায়িক কার্যক্রম, ইয়ার্ডে/মাঠে রাখা পণ্য ও গাড়ির নিরাপত্তার জন্য বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। তারা তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন।

আরো পড়ুন:

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ 

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

তবে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাওয়ার পর পূর্বের অভিজ্ঞ নিরাপত্তাকর্মীদের বাদ দিয়ে দালালের মাধ্যমে টাকা নিয়ে ৩২ জন নতুন নিরাপত্তাকর্মীকে নিয়োগ দিয়েছে।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, সাধারণত যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার কাজটি পায়, তারা স্থলবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মীকে পরিবর্তন করে না। পূর্বে এমন ঘটনা ঘটেনি। এবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড বন্দর কর্তৃপক্ষের কারো সঙ্গে কথা না বলে রাতারাতি সব নিরাপত্তাকর্মীকে পরিবর্তন করতে চেয়েছে, যা অপ্রত্যাশিত।

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মেহেদী হাসান জানান, স্থলবন্দরের নিরাপত্তার পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা কাজ করে থাকেন। কোনো পূর্ব ঘোষণা বা আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে সব কর্মীকে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত। 

বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবেন বলে জানান।

ঢাকা/সিপন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রূপগঞ্জে ঈদগাহ মাঠে ‘মেলা’ আয়োজন ঘিরে উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশঙ্কা 
  • আওয়ামী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ছবিসহ তালিকা প্রদর্শন করবে রাবি ছাত্রদ
  • ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার বিচার দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন
  • খেলার মাঠে মার্কেট করছে কাটাখালী পৌরসভা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা ও ডিসিকে স্মারকলিপি প্রদান
  • ঝালকাঠিতে কর্দমাক্ত রাস্তায় কচুগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ
  • বিভিন্ন দাবি নিয়ে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম না’গঞ্জ মহানগরের মানববন্ধন
  • বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিরাপত্তাকর্মী ছাঁটাইয়ের চেষ্টা
  • চাটমোহরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন