নেত্রকোনার পূর্বধলায় ৩৬ ঘণ্টার ব্যবধানে যমজ দুই ভাই মারা গেছেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাঁরা একে অপরকে খুবই ভালোবাসতেন। প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজনের ধারণা, এক ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে অন্য ভাই মারা গেছেন।

হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মেঘশিমুল মধ্যপাড়া গ্রামে। মারা যাওয়া দুই ভাই হলেন একই গ্রামের মো.

হাসেন আলী (৫৬) ও মো. হোসেন আলী (৫৬)। হাসেন আলী ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। আর হোসেন আলী স্থানীয় একটি স-মিলে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।

এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাসেন আলী গত রোববার সন্ধ্যা সাতটায় হঠাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর যমজ ভাই হোসেন আলী কান্নাকাটি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ওই দিন রাত ১০টার দিকে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।

হাসেন আলীর সাত ছেলে ও এক মেয়ে আছেন। হোসেন আলী স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। হোসেন আলীর জানাজা গতকাল সোমবার সকালে এবং হাসেন আলীর জানাজা আজ বিকেলে নিজ গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হয়। পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি কবরে তাঁদের দাফন করা হয়।

প্রতিবেশী আজাদুর রহমান বলেন, যমজ দুই ভাইয়ের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। একজনের মৃত্যু অন্যজন মেনে নিতে পারেননি বলেই হয়তো এত দ্রুত চলে গেলেন। এ ঘটনায় এলাকার শোকের ছায়া নেমেছে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূর আলম জানান, তিনি যমজ দুই ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছেন। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও বিষয়টি হৃদয়বিদারক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ স ন আল

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হামলার স্থানে থাকা গুলিবিদ্ধ বাবলার মৃত্যু

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগকালে গুলির ঘটনায় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। চান্দগাঁও থানার ওসি জাহেদুল কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

হাসপাতালে লড়ছেন গুলিবিদ্ধ এরশাদ উল্লাহ

স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে হত্যা করে জহুরুলকে: পুলিশ

তিনি বলেন, ‘‘গুলিবিদ্ধ বাবলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তবে, তার কোনো দলীয় পরিচয় পাওয়া যায়নি।’’

এর আগে, সন্ধ্যায় নগরীর পূর্ব বায়েজিদের হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে, কে বা কারা গুলি করেছে তাৎক্ষণিকভাবে সে তথ্য জানা যায়নি।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, মনোনয়ন পেয়ে হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্ল্যাহ। হঠাৎ সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে। এতে এরশাদ উল্লাহ, বাবলাসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলা নামের একজন মারা গেছেন।

গত ৩ নভেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন এরশাদ উল্লাহ। আসনটি জেলার বোয়ালখালী উপজেলা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আরো পড়ুন

হাসপাতালে লড়ছেন গুলিবিদ্ধ এরশাদ উল্লাহ

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

ঢাকা/রেজাউল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ