বিজয় মিছিলে পলাতক আসামি, খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ
Published: 6th, August 2025 GMT
সরকারি চাল নিজের গুদামে অবৈধভাবে মজুদ রাখায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি মো. খোকন আহমেদের (৫০) বিরুদ্ধে মামলা আছে। পুলিশের খাতায় তিনি পলাতক আসামি। অথচ, ৫ আগস্টের বিজয় র্যালিতে তাকে দেখা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
খোকন আহমেদ কেন্দুয়া পৌরসভা ছাড়াও আঠারো বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকায় মেসার্স নাহার ট্রেডার্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে তার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সরকারি মামলার আসামি হলেও খোকন আহমেদ বিএনপি নেতা হওয়ায় পুলিশ তাকে ধরছে না। তিনি অবাধে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে।
আরো পড়ুন:
মসজিদের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ, বিএনপি নেতাকে শোকজ
ঐক্যবদ্ধ থাকুন, মুখ দেখাদেখি যেন বন্ধ না হয়: তারেক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে খোকন আহমেদকে গতকাল ৫ আগস্টের বিজয় র্যালিতে সামনের সারিতে ব্যানার হাতে দেখা গেছে। ওই মিছিলে তার কাছাকাছি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড.
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোকন আহমেদ বলেছেন, “গতকাল বিজয় র্যালিতে ছিলাম। আজও জেলায় আছি।”
আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে কিছুটা নিরব থেকে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে পরে জানাব।”
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেছেন, “খোকন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। তিনি জামিন নেননি, পলাতক আছেন। তিনি গতকালের র্যালিতে ছিলেন, এটা আমাদের চোখে পড়েনি।”
গত ২০ জুন রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দুয়া পৌর শহরের আঠারো বাড়ি এলাকায় খোকনের মালিকানাধীন মেসার্স নাহার ট্রেডার্সে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এ সময় ওই গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করা ৩০৪ বস্তা আতপ চাল জব্দ করা হয়, যার ওজন প্রায় ১৩ হাজার ৮৫৪ কেজি। এসব চালের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ লাখ ৫৪ হাজার ১৬০ টাকা। অভিযানের সময় খোকন আহমেদকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করে ডাকা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ১ জুলাই খোকনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। তারপর থেকে তিনি এলাকায় ঘোরাঘুরি করলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি।
ঢাকা/ইবাদ/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আস ম এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় খাইরুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
শিক্ষকের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
ধুনটে প্রবাসী নারীকে ধর্ষণ, প্রেমিক কারাগারে
দণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বুজরুকগড়গড়ি মাদ্রাসাপাড়ার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজ মোড় হয়ে বাড়ি ফিরছিল সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী। এ সময় কৌশলে স্কুলছাত্রীকে একটি অটোরিকশায় তুলে নেন খাইরুল। পরে পৌর এলাকার সুমিরদিয়ায় একটি বাঁশবাগানে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, ‘‘দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনার পর আদালত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় খাইরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।’’
ঢাকা/মামুন/রাজীব