ভীমরুলী-কুড়িয়ানায় জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খালে শ্রাবণের ঢেউ
Published: 7th, August 2025 GMT
শ্রাবণদিনের মেঘলা আকাশ মানেই গুমোট ভ্যাপসা গরম। ৫ আগস্ট, বাংলা পঞ্জিকার হিসাবে ২১ শ্রাবণ, বর্ষার ভরা যৌবন। সকাল সকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা পৌঁছাতে পৌঁছাতে পাতলা মেঘ ঘন-গাঢ় হতে হতে ভারী হয়ে ওঠে। কুড়িয়ানা বাজারের দক্ষিণ দিকে খালের ধারে ছায়া মেলে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল শিরীষগাছ, নিচে নৌকার ঘাট। সেখান থেকে শুরু হয় ছোট ছোট খালে ভ্রমণ। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা এই জলপথে নৌকায় ৪০ মিনিট এগোলেই ঝালকাঠির ভীমরুলী বাজার—যেখানে খালের পানিতে ঢেউয়ের তালে তালে বসে ভাসমান পেয়ারার হাট।
চারপাশের গ্রাম থেকে ছোট ছোট কোষা নৌকার খোলে করে চাষিরা নিয়ে আসেন তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। পাইকাররা এসব কিনে বড় ট্রলারে করে নিয়ে যান—তারপর ট্রাকে তুলে পাঠান দেশের নানা প্রান্তে।
আটঘর-কুড়িয়ানা এলাকা পেয়ারার জন্য ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত। তিন জেলার কয়েকটি এলাকা নিয়ে দেশি জাতের পেয়ারার এই সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে প্রায় দুই শতাব্দী আগে। তবে এখন আর শুধু পেয়ারা চাষে টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না কৃষকদের। তাই তাঁরা কৃষিতে এনেছেন বৈচিত্র্য—পেয়ারা ছাড়াও লেবু, আমড়া, মাল্টা, ডাবসহ নানা জাতের সবজি চাষ করে নতুনভাবে পথ খুঁজছেন।
ভ্যাপসা গরমের মধ্যে খালে নৌকা ভেসে চলায় খানিকটা স্বস্তি মেলে। খালের শিরার মতো বিস্তৃত জলে বইছে ভেজা বাতাস—মনে হলো শ্রাবণের নিশ্বাস যেন আলতো করে ছুঁয়ে যাচ্ছে শরীর।
দুই শতাব্দীর পেয়ারা-ঐতিহ্যবরিশালের বানারীপাড়া, ঝালকাঠি সদর ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত এই বাণিজ্যিক পেয়ারা চাষ। বানারীপাড়ার ১৬টি গ্রামে ৯৩৭ হেক্টর, ঝালকাঠির ১৩ গ্রামে ৩৫০ হেক্টর ও নেছারাবাদের ২৬ গ্রামে ৬৪৫ হেক্টর জমিতে এখনো চাষ হয় দেশি পেয়ারা। দুই শতাব্দীর পুরোনো এই কৃষি ঐতিহ্য আজ টিকে থাকার লড়াই করছে।
বরিশালের বানারীপাড়া, ঝালকাঠি সদর ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত বাণিজ্যিক পেয়ারা চাষ। গত ১ আগস্ট ঝালকাঠির চাঁপাতলা খালে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঝ লক ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।