ঘরের ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে গেছে? সমাধান মিলবে এই ৭ উপায়ে
Published: 7th, August 2025 GMT
দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের পরও ঘরে থাকা ওয়াই-ফাইয়ের ধীরগতির কারণে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। ফলে ভালোভাবে ভিডিও দেখতে না পারা, ভিডিও কলের সময় বাফারিং হওয়াসহ বিভিন্ন কাজ করতে সমস্যা হয়। বেশ কিছু কৌশল ব্যবহার করে চাইলেই ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানো যায়। ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়ানোর সাত উপায় জেনে নিন।
১. রাউটারের অবস্থান
রাউটার কোথায় রাখা হয়েছে, সেটির ওপরই নির্ভর করে ওয়াই-ফাইয়ের নেটওয়ার্ক কতটা শক্তিশালী হবে। অনেকেই রাউটার ঘরের এক কোণে, নিচু জায়গায় বা ভারী আসবাবের আড়ালে রাখেন। এতে নেটওয়ার্কের সংকেত বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই রাউটার ঘরের মাঝামাঝি এবং কিছুটা উঁচু স্থানে রাখতে হবে।
২.
সংকেতে বাধা সৃষ্টি করা যন্ত্রপাতি এড়িয়ে চলা
ব্লুটুথ স্পিকার, ওয়্যারলেস ক্যামেরা বা রেডিও তরঙ্গনির্ভর অন্যান্য যন্ত্র রাউটারের সংকেতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে রাউটারকে এসব যন্ত্র থেকে দূরে রাখতে হবে। পাশাপাশি যদি আশপাশে একাধিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সক্রিয় থাকে, তবে রাউটারের চ্যানেল ম্যানুয়ালি পরিবর্তন করে কম ফ্রিকোয়েন্সি নির্বাচন করতে হবে।
৩. নতুন প্রযুক্তি–সমর্থিত রাউটারের ব্যবহার
ডুয়াল ব্যান্ড বা ট্রাই ব্যান্ড–সমর্থিত নতুন প্রজন্মের ওয়াই-ফাই ৬ বা ওয়াই-ফাই ৬ই প্রযুক্তির রাউটারের মাধ্যমে দ্রুতগতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। তাই ঘরে থাকা রাউটার এসব প্রযুক্তি সমর্থন না করলে সেটি পরিবর্তন করতে হবে।
৪. রাউটারের সফটওয়্যার হালনাগাদ
রাউটারের ফার্মওয়্যার নিয়মিত হালনাগাদ না করলে নেটওয়ার্কের গতি কমে যায়। রাউটারের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত সফটওয়্যার হালনাগাদ করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই নিয়মিত রাউটারের সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে হবে।
৫. রেঞ্জ এক্সটেন্ডার বা মেশ ব্যবস্থা ব্যবহার
বড় বাড়িতে একটি রাউটার দিয়ে সব স্থানে সমান গতির সিগন্যাল পাওয়া যায় না। এ ছাড়া একাধিক দেয়ালের কারণেও ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে যায়। এ সমস্যা সমাধানে রেঞ্জ এক্সটেন্ডার বা মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে। এক্সটেন্ডারগুলো মূলত রাউটার থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে আবার পাঠিয়ে থাকে। এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে রাউটার হালনাগাদ বা পরিবর্তন করতে হবে।
৬. নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা পরীক্ষা
অনেক সময় অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে ইন্টারনেট ধীরগতির হয়ে পড়ে। এ সমস্যা সমাধানে রাউটারে শক্তিশালী ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা জানার পাশাপাশি ডব্লিউপিএ-টু বা ডব্লিউপিএ-থ্রি এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
৭. বেশি ডেটা ব্যবহার করা যন্ত্রে তারযুক্ত সংযোগ ব্যবহার
অনেকেই স্মার্ট টেলিভিশনের বড় পর্দায় নিয়মিত ইউটিউব ভিডিও দেখেন। গেমিং কনসোলের মাধ্যমে অনলাইনে গেমও খেলেন অনেকে। এসব যন্ত্র বেশি ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করে থাকে। ফলে ওয়াই-ফাইয়ের গতি কম হলে সমস্যায় পড়তে হয়। ডেস্কটপ কম্পিউটার, গেমিং কনসোল বা স্মার্ট টেলিভিশনের মতো যন্ত্রে ওয়াই-ফাইয়ের পরিবর্তে সরাসরি ইথারনেট তারের সংযোগ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এতে রাউটারের ওপর চাপ কমে এবং অন্যান্য যন্ত্রেও দ্রুতগতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
সূত্র: নিউজ১৮
আরও পড়ুনওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের সিগন্যাল কি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে১৮ অক্টোবর ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন টওয় র ক র ব যবহ র কর র উট র র সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
১২ বছর পর শুভ-তমার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে
দীর্ঘ ১২ বছর পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঢালিউডের আলোচিত সিনেমা ‘মন যে বোঝে না’। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ ও তমা মির্জা।
২০১৩ সালে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান সিনেমাটির শুটিং শুরু করেন। তখন নাম ছিল ‘লাভলী: মন বোঝে না’। শ্রীলঙ্কার মনোরম লোকেশনে শুরু হয় দৃশ্যধারনের কাজ। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই শুভ ও প্রযোজকের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে সিনেমাটি ছেড়ে দেন পরিচালক সোহান।
আরো পড়ুন:
প্রশ্ন করবেন না, সব বলে দেব: পরীমণি
‘কেজিএফ’ অভিনেতা মারা গেছেন
পরে সিনেমার কিছু অংশের কাজ সম্পন্ন করেন নির্মাতা শাহাদাৎ হোসেন লিটন। তবে শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি সম্পূর্ণ করেন পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা। দীর্ঘদিনের স্থগিতাবস্থা কাটিয়ে অবশেষে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে ‘মন যে বোঝে না’ শিরোনামে মুক্তি পাচ্ছে এটি।
চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্রে দেখা গেছে, সিনেমাটির পরিচালক হিসেবে নাম রয়েছে আয়েশা সিদ্দিকার। মুক্তির খবর জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায়, আমার পরিচালনায় আসছে এক হৃদয়ছোঁয়া রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্প ‘মন যে বোঝে না’। মুক্তি পাচ্ছে ৭ নভেম্বর।”
অন্যদিকে নির্মাতা শাহাদাৎ হোসেন লিটন বলেন, “সিনেমার কিছু অংশের কাজ শেষ করার পর আমি সরে আসি। পরে আয়েশা সিদ্দিকা সেটি সম্পন্ন করেন।”
তবে সিনেমাটির প্রধান অভিনয়শিল্পীরা মুক্তির খবর জানেন না বলে জানা গেছে। নায়ক আরিফিন শুভর বক্তব্য পাওয়া না গেলেও চিত্রনায়িকা তমা মির্জা বলেন, “সিনেমাটির মুক্তির বিষয়ে আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি। গণমাধ্যম থেকেই বিষয়টি জেনেছি; এটি এক যুগ আগের সিনেমা।”
‘মন যে বোঝে না’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন—তারিক আনাম খান, হাসান মাসুদ, মনিরা মিঠু, চৈতী ও কাবিলা প্রমুখ।
দীর্ঘ এক যুগ পর শুভ-তমা জুটিকে আবার বড় পর্দায় দেখতে পাবেন দর্শক। যদিও সিনেমাটির গল্প, নির্মাণ আর আবহ আজ অনেকটাই সময়ের বাইরে। তবু কৌতূহল রয়ে গেছে—১২ বছরের পুরোনো সেই প্রেমকাহিনি আজকের প্রজন্মের দর্শকের মন কতটা বোঝাতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত