বিনিয়োগ বাড়াতে বিজিএমইএর সঙ্গে কানাডা চেম্বারের সমঝোতা
Published: 6th, November 2025 GMT
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অফ কানাডার (বিবিসিসি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের মূল লক্ষ্য হলো দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা, ব্যবসায়ীক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করা এবং পারস্পরিক ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানে সমঝোতা স্মারকে বিজিএমইএ এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এবং বিবিসিসি এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন সভাপতি আলমগীর এম রহমান।
আরো পড়ুন:
পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিজিএমইএ-আইএমএফ বৈঠক
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি মো.
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিজিএমইএ এবং বিবিসিসি এর সদস্যদের পারস্পরিক সুবিধা প্রদানের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। এটি মূলত বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে উন্নত সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর কালে বলেন, “বিবিসিসি এর সাথে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর কানাডা ও উত্তর আমেরিকার বাজারে আমাদের শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়ক হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো উন্নত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করা।”
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় উভয়পক্ষ নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলোতে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে- উভয় প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা এবং নেটওয়ার্কিং সুযোগ, জ্ঞান বিনিময় সহজতর করা । কানাডা ও বাংলাদেশে যৌথভাবে বাণিজ্য মেলা, প্রদর্শনীর আয়োজন করা ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল প্রেরণ করা। একই সাথে, কানাডা ও উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশের পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্যের প্রচারণায় সহায়তা করা। উদ্যোক্তা ও পেশাদারদের সক্ষমতা বাড়াতে জ্ঞান, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বিনিময় করা । পোশাক, টেক্সটাইল ও সংশ্লিষ্ট খাতে কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা এবং সদস্যদের মধ্যে অংশীদারিত্ব, যৌথ উদ্যোগ ও সহযোগিতা উৎসাহিত করা। সদস্যদের সুবিধার্থে আন্তর্জাতিক বাজার প্রবণতা সংক্রান্ত তথ্য, নীতি ও গবেষণা ভাগ করে নেওয়া।
এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশ এবং কানাডার ব্যবসায়িক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়ক হবে বলে আশা করছে বিজিএমইএ।
ঢাকা/নাজমুল/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ এমইএ ব জ এমইএ স ম রক ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিজিএমইএ-আইএমএফ বৈঠক
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মধ্যে পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি ও রূপান্তর নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় এই বৈঠক হয়।
আরো পড়ুন:
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক
শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, আরো কমাতে আলোচনার পরামর্শ
বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এজেন্ডায় পোশাক খাতের অবদানকে উচ্চ প্রশংসা করে এবং শিল্প খাতের চলমান রূপান্তর প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহসভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা এবং পরিচালক ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী।
আইএমএফ প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিনিয়র ইকোনমিস্ট কিয়াও চেন, সিনিয়র ইকোনমিস্ট রুইফেং ঝাং এবং ইকোনমিস্ট আয়া সাইদ।
আইএমএফের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পোশাকশিল্পের ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও কিভাবে পোশাকশিল্প প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ নেতারা জানান, প্রতিষ্ঠানটি এখন শ্রমনির্ভর মডেল থেকে বেরিয়ে এসে মূল্য সংযোজিত পণ্য, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে উচ্চমূল্যের উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, ম্যান-মেইড ফাইবার (এমএমএফ) ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বৈঠকে এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য শুল্ক পরিবর্তন ও বাণিজ্য সুবিধা হ্রাসের বিষয়েও আলোচনা হয়। বিজিএমইএ নেতারা জানান, তারা সরকারকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় থাকে।
বিজিএমইএ নেতারা বৈঠকে শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবসা পরিচালন সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাসের ওপর জোর দেন। তারা উল্লেখ করেন, বোর্ড ইতিমধ্যে সরকারকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের স্থিতিশীলতা, বন্দর ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি, কাস্টমস ও বন্ড প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং সুদের হার এক অঙ্কে রাখার বিষয়ে সুপারিশ করেছে। এছাড়া তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ