চীনে আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে দুটি ব্রোঞ্জ পেল বাংলাদেশ
Published: 8th, August 2025 GMT
আন্তর্জাতিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অলিম্পিয়াডের (আইওএআই) দ্বিতীয় আসরে দুটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছে বাংলাদেশ। চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এই অলিম্পিয়াডে বিশ্বের ৭৩টি দেশের ৮৬টি দল অংশ নেয়।
এবারের অলিম্পিয়াড শুরু হয় ২ আগস্ট। এরপর ৫ ও ৬ আগস্ট দুই দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সমাপনী পর্বে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো.
বেইজিং থেকে বাংলাদেশ দলের দলনেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, বিশ্বমঞ্চে নিজের দেশকে সম্মানিত করতে পারার মতো আনন্দের তুলনা হয় না। অলিম্পিয়াড জগতে বাংলাদেশকে এখন সবাই চেনে, সমীহ করে। তিনি বলেন, ‘এবারের অলিম্পিয়াডে আমাদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যই সবচেয়ে ভালো করেছে। এতে বোঝা যায় যে আমাদের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।’
বাংলাদেশ দলের কনিষ্ঠ সদস্য রিয়াসাত ইসলাম বলে, ‘আইওএআইয়ে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জ মেডেল পেয়ে আমি খুবই খুশি। নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করাটাই ছিল আমার কাছে সার্থকতা। এবারের প্রশ্নগুলো সহজ ছিল না, কিন্তু আমাদের চেষ্টার কারণে আমরা সমাধান করতে পেরেছি।’ আরেক সদস্য আরেফিন আনোয়ার বলে, ‘প্রথমত ভালো তো লাগছেই, মেডেল পেয়ে। এ বছর আইওএআই ছিল অন্য রকম—আয়োজন ও প্রতিযোগিতা দুটোই।’
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির উপাচার্য এ বি এম শওকত আলী বলেন, ‘পুরো বিশ্ব যেখানে এআইয়ের ওপর ভর করে চলা শুরু করেছে, সেখানে আজকের খবরটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও আনন্দদায়ক। গৌরবময় অর্জনের এই যাত্রার শুরু থেকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজি থাকতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত ও সম্মানিত বোধ করছে।’
বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াডের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক রেভ চ্যাটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল হাসান প্রতিযোগীদের, তাঁদের মেন্টরসহ বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের কিশোরদের এই সফলতা সবাইকে উজ্জীবিত করেছে।’
এআই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্রোঞ্জপদকজয়ী আরেফিন আনোয়ার (বাঁয়ে) ও রিয়াসাত ইসলামউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল দ শ দল র অল ম প য় ড আম দ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
একে একে সবাই উঠে দাঁড়ালেন, করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন: আয়রনম্যান আরাফাত
সেই অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক আমি। বাসার কাছেই ছিল একটি ওষুধের দোকান। সেখানে পত্রিকা রাখা হতো। স্কুলে যাওয়া–আসার পথে সেই দোকানে বসে পত্রিকা পড়তাম।
কলেজে ওঠার পর প্রথম আলোতে একদিন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর পড়ি। পড়ে রোমাঞ্চিত হই। চিন্তা করি, কীভাবে সম্ভব সাগরে সাঁতার কাটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও সেটি মাথায় ছিল। ২০১৩ সালে সাঁতারু লিপটন সরকার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পার হওয়ার ইচ্ছার কথা তাঁকে জানালাম। তিনি উৎসাহ দিলেন। শুরু হলো অনুশীলন। ২০১৫ সালে সাঁতরে পাড়ি দিলাম ওই চ্যানেল। সেই খবর ছাপল প্রথম আলো। কাছের-দূরের, কম পরিচিত-বেশি পরিচিত—সবাই খবরটা জেনে শুভেচ্ছা জানালেন। অনেক উৎসাহ পেলাম।
আমার রোমাঞ্চকর যাত্রা অব্যাহত থাকল। ২০১৭ সালে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার মিশনে নামলাম। উদ্দেশ্য ছিল ‘দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থতা’র বার্তা ছড়ানো। ২০ দিনের সেই যাত্রার গল্প ছাপা হলো ‘ছুটির দিনে’তে। শিরোনাম আজও মনে আছে, ‘দৌড়ে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া’। খবরটি দেখে সেই দিন এতটা নার্ভাস লাগছিল যে সারা দিন আর কোনো কাজ করতে পারিনি।
‘চ্যালেঞ্জ রথ’ ট্রায়াথলনে বাংলাদেশের মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত