ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দার
Published: 8th, August 2025 GMT
বাংলাদেশে পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ইমরান হায়দার।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। পাকিস্তানের ঢাকা হাইকমিশন এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নতুন হাইকমিশনার ইমরান হায়দারকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন:
চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনীর উদ্বোধন
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর: বাণিজ্য আদালত প্রতিষ্ঠার পথে বাংলাদেশ
তিনি বিদায়ী হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
গত ১১ মে হঠাৎ করেই সৈয়দ আহমেদ মারুফ ঢাকা ছেড়ে যান। সাধারণত, কোনো বিদেশি কূটনীতিক তার স্টেশন ত্যাগ করলে স্বাগতিক দেশকে তার যাওয়া-আসার সময় জানানো হয়। তবে মারুফের ক্ষেত্রে কেবল তার চলে যাওয়ার তথ্য জানানো হয়। পরে পাকিস্তান অনানুষ্ঠানিকভাবে জানায় যে, মারুফ দুই সপ্তাহের ছুটিতে আছেন। কিন্তু এক মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও তিনি আর ফেরেননি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কূটনীতিক ইমরান হায়দার এর আগে মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাজিকিস্তানেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
এছাড়া, তিনি তেহরান, মাদ্রিদ, দিল্লি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নিউইয়র্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইমর ন হ য দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে সাত বছর আগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলা বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় আরও অগ্রগতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষণা পরিচালক ইসাবেল লাসে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শহিদুল আলমের এই রায় অনেক আগেই পাওয়া দরকার ছিল। তাঁকে যখন আটক করা হয়েছিল, তখন আমরা তাঁকে বিবেকের বন্দী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম। তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার হওয়া কখনো উচিত ছিল না। ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বাংলাদেশের (তৎকালীন) কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও দমন-পীড়নের সমালোচনা করার কারণেই তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পদ্ধতিগত ও সহিংস উপায়ে দমন-পীড়ন চালানোর ধারা পরিবর্তন করাটা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন ইসাবেল লাসে। তিনি বলেন, ‘এ জন্য প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে, নিজেদের আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং যেসব কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বা হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিচার নিশ্চিত করা। যাঁরা এসবের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাজের দিকে যাত্রা করছে বলে অনেকে আশা করছেন, তাই সেখানে এ ধরনের দমনমূলক কৌশলের কোনো স্থান নেই।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মনে করে, শহিদুল আলমের মামলা বাতিল করাই যথেষ্ট নয়। মতপ্রকাশের কারণে তাঁকে ১০০ দিনের বেশি আটকে রাখা হয়েছে এবং হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁর ওপর নির্যাতন হয়েছে। তাঁর এগুলোর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলাটি বৃহস্পতিবার বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।