নায়কদের তুলনায় ফেসবুকে নায়িকারা বেশ সরব থাকেন। ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে নিজেদের কাজের খবর ফেসবুকের মাধ্যমে জানান, তেমনি ব্যক্তিগত খবর, ঘোরাঘুরিসহ নানান মুহূর্তের সর্বশেষ খবর দিতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কেউ ফেসবুক পেজ, আবার কেউবা এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন। তারকাদের ভক্তরাও এতে তাঁদের সম্পর্কে সরাসরি অনেক কিছু জানতে পারেন। দেশের প্রথম সারির ১০ নায়িকার মধ্যে কার ফেসবুক অনুসারী কত, একনজরে দেখে নেওয়া যাক

১০.

তমা মির্জা ( ৩.৫ লাখ)

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে তমা মির্জা এখন বেশ জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য একজন চিত্রনায়িকা। তাঁর অভিনীত ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ সুপারহিট তকমা পায়। এমনকি ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিতও হয়। বড় পর্দার পাশাপাশি তমা মির্জা ওটিটির সিরিজ ও ওয়েব ফিল্মেও সমানতালে কাজ করছেন। গেল বছর কলকাতার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্তের পরিচালনায় ‘দুই বন্ধু’ সিরিজেও কাজ করেছেন। গেল ঈদুল আজহায় চরকিতে মুক্তি পায় ওয়েব ফিল্ম ‘আমলনামা’। গেল দেড় দশকে ২০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। কয়েক বছর ধরে ওটিটি ও চলচ্চিত্রে তাঁর ব্যস্ততা বেড়েছে। একটা সময় ফেসবুকে বেশ সরব ছিলেন এই নায়িকা, তাঁর পেজে অনুসারীর সংখ্যা ছিল ২৫ লাখের মতো। কিন্তু কয়েক বছর আগে ফেসবুক পেজটি নিস্ক্রিয় করে দেন এই তারকা। ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ফেসবুক আইডি, যেখানে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ।

তমা মির্জা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ