জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আরফান উদ্দিন মাসুদ  চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি এনসিপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আরফান উদ্দিন মাসুদ এ সিদ্ধান্ত জানান। তিনি কমিটিতে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী পদে ছিলেন।

ফেসবুক পোস্টে আরফান উদ্দিন মাসুদ লিখেছেন, এনসিপির সূচনালগ্ন থেকে সাতকানিয়া উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। গত ২৫ জুন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সাতকানিয়া উপজেলা সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে তাকে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রাখা হয়েছে।

আরফান উদ্দিন মাসুদ পোস্টে অভিযোগ করে লিখেছেন,  কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির একক সিদ্ধান্তে কোনো ধরনের আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়া এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। তা ছাড়া তিনি এই পদে থাকবেন—এ ব্যাপারে তাকে আগে অবগত করা হয়নি। এ কারণে তিনি পদত্যাগ করছেন। পাশাপাশি এরপর থেকে এনসিপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক রাখবেন না।

মাসুদ এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এক ব্যক্তি’ বলতে তিনি এনসিপির দক্ষিণ জেলার সমন্বয়ক সিফাত হোসাইনকে বুঝিয়েছেন। মূলত তার একক সিদ্ধান্তেই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দেওয়ার আগে জানানো হয়েছিল, আমি প্রধান সমন্বয়কারীর পদ পাব। কিন্তু কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর দেখলাম, যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ দেওয়া হয়েছে। ফলে এখানে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন কিংবা সম্পর্ক অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।’’ 

মাসুদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সংগঠক সিফাত হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তিনি (মাসুদ) আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। এ কারণে কমিটির বাকি সদস্যরা তাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন না।’’

কমিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন বা সম্পর্ক- এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান সিফাত হোসাইন। 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমন বয়ক র এনস প র

এছাড়াও পড়ুন:

চায়ের দোকান থেকে নিউইয়র্ক, পুরস্কার ঘোষণার দিনেই মৃত্যু

কোনো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে আলোড়ন তুললেন; ছবিটি পেল জাতীয় পুরস্কার। আর পুরস্কার ঘোষণার একই দিনে সেই তরুণ চিরতরে চলে গেলেন। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছিল অবতার কৃষ্ণ কৌলের জীবনে।
১৯৩৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম নেওয়া কৌলের শৈশবই ছিল বেদনার। বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে একদিন তিনি ঘর ছেড়ে পালালেন। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিন কাটত, চায়ের দোকানে কিংবা ছোট হোটেলে কাজ করতেন। অভুক্ত থেকেও বই আর শব্দের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এই অপূর্ণ শৈশবই হয়তো পরে তাঁকে সিনেমার ভেতর মানুষ আর সমাজকে ভিন্ন চোখে দেখার শক্তি দিয়েছিল।

নিউইয়র্কে নতুন জীবন
পরবর্তী সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পেয়ে পৌঁছে গেলেন নিউইয়র্কে। দিনের চাকরির ফাঁকে রাতগুলো কাটত সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আর পরে ব্রিটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসে কাজ করলেও তাঁর আসল পৃথিবী ছিল অন্যত্র। সহকর্মীরা প্রায়ই দেখতেন, হাতে উপন্যাস বা নোটবুক নিয়ে বসে আছেন কৌল। তাঁর চোখে তখন এক স্বপ্ন—চলচ্চিত্র নির্মাণ।

‘২৭ ডাউন’–এর শুটিং চলছে। ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ