জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা কমিটি থেকে চার নেতা পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে শিবচর প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন।

পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন— শিবচর উপজেলা সমন্বয়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী শাকিল খান, সদস্য মো. রিয়াজ রহমান, সদস্য মহিউদ্দিন ও সদস্য কাজী রফিক।

গত ১৫ জুন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে শিবচর উপজেলা সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন মাস অথবা উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত।

আরো পড়ুন:

টিটিসির অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করলেন শিক্ষার্থীরা

মুরাদনগরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখপাত্র কেয়ার পদত্যাগ

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো.

রিয়াজ রহমান। তিনি বলেন, ‘‘গভীর ভাবনা ও পর্যবেক্ষণের পর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ব্যক্তিগত কারণেই আমরা এনসিপির সব ধরনের দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। সবাই আমার পাশে ছিলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই।’’

তারা বলেন, ‘‘শিবচর উপজেলায় দল পরিচালনার দায়িত্ব কিছু অযোগ্য ও বিতর্কিত ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে, যারা আদর্শিক, নৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে সম্পূর্ণ অযোগ্য। এর ফলে দলের প্রকৃত, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী কর্মীরা যথাযথ মর্যাদা ও মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’’

তারা আরো বলেন, ‘‘আমরা কোনো রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসিনি। কোটা আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ের গণআন্দোলনে ছাত্রসমাজের পাশে থেকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। দীর্ঘ আত্মবিশ্লেষণ ও গভীর চিন্তাভাবনার পর আমরা সজ্ঞানে ও সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’’

শিবচরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা বলেন, ‘‘আমাদের কর্মকাণ্ডে যদি কারো মনে আঘাত লেগে থাকে, তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত— দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।’’

এ সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/বেলাল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ শ বচর উপজ ল পদত য গ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

পুরস্কার হাতে স্মৃতিকাতর তহুরা

২০১৮ সালটা তহুরার জন্য খুবই স্মরণীয়। সেবারই প্রথম জাতীয় নারী ফুটবল দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। ঠিক সেই বছর সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদও হয়েছিলেন তহুরা।

শনিবার আরও একবার একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিয়েছেন নিজের দ্বিতীয় বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদের পুরস্কার। গতকাল ২০২৪ সালের জন্যও দ্বিতীয়বারের মতো সেই পুরস্কার নিতে এসে খানিকটা স্মৃতিকাতরই হয়ে পড়লেন তিনি।

২০১৮ সালে যখন প্রথমবার বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ হয়েছিলেন, তখন টুর্নামেন্টে থাকার কারণে নিজে পুরস্কার নিতে আসতে পারেননি তহুরা। তহুরার হয়ে পুরস্কার নিয়েছিলেন তাঁর বাবা। কাল পুরস্কার হাতে সে দিনের স্মৃতিতে ফিরে গেলেন, বললেন এবারের রোমাঞ্চের কথাও, ‘২০১৮ সালে যখন এই পুরস্কার পাই, তখন এত বেশি বুঝতাম না পুরস্কারটা কী! তখন টুর্নামেন্ট থাকায় আসতে পারিনি। আমার বাবা এসেছিলেন, নিজে না আসতে পারায় মন খারাপ হয়েছিল। এবার আবার পুরস্কার পেলাম। প্রথম আলোকে ধন্যবাদ। এই আয়োজনের সঙ্গে যাঁরা সম্পৃক্ত তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ হয়েছেন তহুরা খাতুনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মোল্লা সাবিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ