জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) রাজনৈতিক দলের হল কমিটি বাতিল এবং আবাসিক হলের অভ্যন্তরে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হল এবং ২১ নম্বর হল থেকে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করে অন্যান্য হলগুলো প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, “অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; হল পলিটিক্সের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; গেস্টরুমের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; আমার হলে রাজনীতি, চলবে না চলবে না; ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর; গেস্টরুমের আগমন, রুখে দাও দিতে হবে; হলে হলে খবর দে, হল পলিটিক্স এর কবর দে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, “আমরা বিগত বছরগুলোতে দেখেছি হল পলিটিক্সের মাধ্যমে ছাত্রলীগ কীভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। আমরা চাই না, নতুন করে আবার সেই পুরোনো কালচার ফিরে আসুক। হলগুলোতে সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে এবং অনতিবিলম্বে সকল রাজনৈতিক দলের ঘোষিত হল কমিটিগুলো বাতিল করতে হবে।”

শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো—

১.

আবাসিক হলে সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. হলে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষার্থী, গণরুম, গেস্ট রুম এবং র‍্যাগিং কালচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. অতি দ্রুত জাকসু তথা হল সংসদ কার্যকর করতে হবে এবং ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৪. রাজনৈতিক সংগঠন থেকে প্রাপ্ত যেকোনো উপহার সামগ্রী গ্রহণ করে সেটা হল প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় স্থাপন করতে হবে।
৫. হলের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে অছাত্র বা বহিরাগতদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না এবং সে অনুযায়ী হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৬. হলের মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “উপাচার্য হিসাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। আমি শতভাগ একমত যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গণরুম, গেস্টরুম কালচার ফিরে আসুক সেটা কখনই চাই না।”

তিনি আরো বলেন, “আমি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো লিখিত আকারে পেশ করার কথা বলেছি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং হল প্রভোস্টসহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে এ ব্যাপারে একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিতে পারবো বলে আশা করি।” 

ঢাকা/আহসান/ইভা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত র র জন ত উপ চ র য অ য কশন

এছাড়াও পড়ুন:

ঝালকাঠি শহরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

ঝালকাঠি পৌর এলাকায় রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের শীতলাখোলা এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়। পরে শহরের পোস্ট অফিস সড়ক, কালিবাড়ী সড়ক, লঞ্চঘাট সড়ক, বড় বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালানো হয়। এসময় অবৈধ দোকানপাট, সাইনবোর্ড, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়।

আরো পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ১০০০ স্থাপনা উচ্ছেদ

বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত অভিযানে বাধা, সড়ক অবরোধ

ঝালকাঠি পৌরসভার প্রশাসক কাওছার হোসেন বলেন, “এই শহরের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিলেন অনেক ব্যক্তি। আজ থেকে দখল করা স্থানে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা সম্পূর্ণ উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন- ঝালকাঠি পৌরসভার প্রশাসক কাওছার হোসেন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান, ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি আল-আমিন তালুকদার।

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ