চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত
Published: 10th, August 2025 GMT
ব্রাজিল থেকে তিনটি বন্দর ঘুরে চট্টগ্রামে আসা একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়েছে। গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছাঁর পর বন্দরের ‘রেডিয়েশন ডিটেকশন সিস্টেম’-এ তেজস্ক্রিয়তা ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম-কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হওয়ার পর কনটেইনারটির পণ্য খালাস স্থগিত রেখে এটি নিরাপদ স্থানে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, ব্রাজিলের মানাউস থেকে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক শিপিং কোম্পানি এমএসসির একটি কনটেইনারে পুরাতন লোহার স্ক্র্যাপ লোড করে কয়েকটি জাহাজ পরিবর্তন হয়ে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি হয়। ঢাকার আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড এই স্ক্র্যাপ আমদানি করে। সর্বশেষ গত ৩ আগস্ট মাউন্ট ক্যামেরন নামে একটি জাহাজে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
আরো পড়ুন:
বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিরাপত্তাকর্মী ছাঁটাইয়ের চেষ্টা
সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর পরিদর্শন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দরের ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকশন সিস্টেম’- এর মাধ্যমে এই কনটেইনারটিতে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়। এর পরপরই কনটেইনারটি নিরাপদ স্থালে আলাদা করা হয় এবং পণ্য খালাস স্থগিত করা হয়।
বন্দর সূত্র জানায়, কনটেইনারে থাকা কোনো লোহার টুকরো বা স্ক্র্যাপে তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই তেজস্ক্রিয়তা কতোটা ক্ষতিকর তা নিরূপন করা জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (১০ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, “পরমাণু শক্তি কমিশনকে আমরা ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছি। অনুরোধ করেছি, একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানোর জন্য। বিশেষজ্ঞ টিম এসে কনটেইনারটি পরীক্ষা করবে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারন করা হবে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লার সেই বিএনপিকর্মী ইব্রাহিম মারা গেছেন
ফতুল্লার বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম (৫২) মারা গেছেন। সে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছিলেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যান।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে হাজিগঞ্জ জামে মসজিদে নিহতের নামাজের জানাজা শেষে পাঠানটুলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত ইব্রাহিম ফতুল্লা থানার ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড হাজীগঞ্জের আব্দুল জলিলের পুত্র। তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।
জানা যায়,২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির ডাকা মহা সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদলের ব্যানারে সে অংশগ্রহণ করে।
সমাবেশের শেষের দিকে মুল মঞ্চের পেছনের দিকে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতা,কর্মীও সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশ বিএনপি নেতা- কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ইব্রাহিম পুলিশের হামলায় মারাত্নক আহত হয়ে রাস্তায় পরে থাকে। সে সময় সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ঘটনার চারদিন পর তার সহোযোগিরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খুঁজে পায়। দীর্ঘদিন সহোযোগিরা নিজেদের অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর আল বারাকা নামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা করায়।
পরবর্তীতে ইব্রাহিমকে নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হলে বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই রোববার রাতে তিনি মারা যান।
ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ পারভেজ মিয়া জানান,নিহত ইব্রাহিম ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঘোষিত পল্টন পার্টি অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়ন যুবদলের সাথে ঢাকায় গিয়েছিলেন ।
সমাবেশ চলাকালে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন টিপু ও নিহত ইব্রাহিম এবং তিনি সহ আরো নেতা-কর্মীরা পল্টন পার্টি অফিস সংলগ্ন চায়না টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়। এতে করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে।
অতর্কিত হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় চার দিন পর পত্রিকার নিউজে দেখতে পায় ইব্রাহিম নামে একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সেই সংবাদের পর তার পরিবারের লোকজন এবং ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী ঢাকা মেডিকেলে খোঁজ নেওয়ার পরে তারা নিশ্চিত হন যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে থাকা চিকিৎসারতি হচ্ছে তাদের নিখোঁজ ইব্রাহিম।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসা শেষ করে তাকে বাসায় আনা হয়। বাসায় আনার পরে উনি আবার অসুস্থ হয়ে পরে। ফলে ৮ নং ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় পুনরায় তাকে মদনপুর আল বারাকা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পরেন।
এমতাবস্থায় নাসিক ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন তাকে দেখতে আসলে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ পায়। প্রকাশিত সংবাদের পর বিএনপি নেতা শিল্পপতি প্রাইম বাবুল ভাই তার চিকিৎসার দ্ধায়িত্ব নেন।
বাবুল ভাই নিজে এসে তার দাত্ব নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমান ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় তিনি ইন্তেকাল করেন।