আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার বডিওয়ার ক্যামেরা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শনিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী ও ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, “৪০ হাজার বডি ক্যামেরা, যা সাধারণত বডিক্যাম নামে পরিচিত, সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ডিভাইসগুলি হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।”

"আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই যেন পুলিশ বাহিনী এসকল বডিক্যামের এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলির ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারেন,"  তিনি বলেন।

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জার্মানি, চীন এবং থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেছে ক্যামেরা সরবরাহের জন্য। পুলিশ অফিসার এবং কনস্টেবলরা নির্বাচনের সময় ডিভাইসগুলো তাদের বুকে পরবেন বলেও প্রেস উইং জানায়।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এ সময় কর্মকর্তাদের বডিক্যামগুলো দ্রুত ক্রয় এবং হাজার হাজার পুলিশ কর্মীর জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

“আমাদের অবশ্যই সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, খরচ যাই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য হলো ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করা,” তিনি বলেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী আসন্ন ভোটের জন্য একটি নির্বাচনি অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনার কথাও জানান।

অ্যাপটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের উপর বিশদ তথ্য প্রদান করবে, এর মধ্যে প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট এবং অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের অ্যাপটি দ্রুত চালু করার এবং দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটি ব্যবহার-বান্ধব কিনা তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ টক ন দ র র জন য স গ রহ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যাচ মিসই টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে, মনে করেন জাকেরও

একটা ক্যাচই কি তাহলে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিল!

তানজিম হাসানের বলে অভিষেক শর্মা ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে। ঝাঁপিয়ে পড়ে বলের নাগালও পেয়েছিলেন জাকের আলী। তবে বলটা তিনি গ্লাভসে জমাতে পারেননি। তখনো অভিষেকের রান ৭ বলে ৭। জীবন পাওয়ার পর থেকেই বিধ্বংসী হতে শুরু করেন ভারতের বাঁহাতি ওপেনার।

২৫ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত ফিল্ডিং আর থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরার আগে করে যান ৩৭ বলে ৭৫ রান। জাকের ক্যাচ ছাড়ার পর অভিষেকের ব্যাট থেকে এসেছে আরও ৬৮ রান। শেষ পর্যন্ত ভারত ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করার পর দুবাইয়ে কাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছে ৪১ রানে।

জাকেরের ওই ক্যাচ মিসই কি তাহলে বদলে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা জাকের বলেছেন, ‘আপনি বলতে পারেন। কারণ সে এরপর দ্রুত রান তুলেছে।’ ক্যাচটা তাঁর ধরা উচিত ছিল বলেও মনে করেন জাকের, ‘আসলে এটা রেগুলেশন ক্যাচ ছিল। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এটা ধরা উচিত। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু বলটা পড়ে গেছে।’

রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জাকের আলীকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ