করতোয়া নদীর পানি উপচে বসতবাড়ি প্লাবিত, পানিবন্দী ১০০ পরিবার
Published: 10th, August 2025 GMT
উজান থেকে নেমে আসা পানি ও ভারী বর্ষণে করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে। নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে পড়ছে বসতবাড়িতে। এ চিত্র বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের দুটি মহল্লা ও গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোট ফুলবাড়ী গ্রামের।
পানিবন্দী হয়ে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অধিকাংশ পরিবারই নিম্ন আয়ের। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই নদীর পানি বাড়তে থাকে। এতে গাড়িদহ ইউনিয়নের একটি গ্রাম ও পৌর শহরের দুটি মহল্লায় পানিবন্দী অন্তত ১০০ পরিবার।
আজ রোববার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের করতোয়া নদীতীরবর্তী ছোট ফুলবাড়ী গ্রাম ও শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া ও পূর্ব ঘোষপাড়া মহল্লা পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দী লোকজন জানান, অনেকের বাড়িতে গতকাল রাত থেকে পানি ঢুকে পড়েছে। আজ দুপুরে শেরপুর সরকারি ডি জে হাইস্কুলে গেলে দেখা যায়, ১২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের শেরপুর পানি উন্নয়ন শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ভারী বর্ষণের কারণেই করতোয়া নদীতে পানি বেড়েছে।
শেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল দুপুরের পর থেকে এই নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে নেমে আসছে পানি। নদী উপচে এই পানি ঢুকে পড়ছে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন বসতবাড়িতে।
পূর্ব ঘোষপাড়ার সুজন মিয়া ও আবদুল মান্নান বলেন, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। আজ সকালে তাঁদের গ্রামের অন্তত ১২টি পরিবার বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোট ফুলবাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে অনেক উঁচুতে তাঁদের বাড়ি। নদীর পানি উপচে সেই বাড়িতেও ঢুকেছে। তাঁরা পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিয়ে কোথায় আশ্রয় নেবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান প্রথম আলোকে বলেন, শেরপুরে পানি ঢুকে অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। দ্রুত একটি তালিকা প্রস্তুত করে পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ন বন দ নদ র প ন পর ব র করত য
এছাড়াও পড়ুন:
করতোয়া নদীর পানি উপচে বসতবাড়ি প্লাবিত, পানিবন্দী ১০০ পরিবার
উজান থেকে নেমে আসা পানি ও ভারী বর্ষণে করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে। নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে পড়ছে বসতবাড়িতে। এ চিত্র বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের দুটি মহল্লা ও গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোট ফুলবাড়ী গ্রামের।
পানিবন্দী হয়ে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অধিকাংশ পরিবারই নিম্ন আয়ের। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই নদীর পানি বাড়তে থাকে। এতে গাড়িদহ ইউনিয়নের একটি গ্রাম ও পৌর শহরের দুটি মহল্লায় পানিবন্দী অন্তত ১০০ পরিবার।
আজ রোববার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের করতোয়া নদীতীরবর্তী ছোট ফুলবাড়ী গ্রাম ও শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া ও পূর্ব ঘোষপাড়া মহল্লা পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দী লোকজন জানান, অনেকের বাড়িতে গতকাল রাত থেকে পানি ঢুকে পড়েছে। আজ দুপুরে শেরপুর সরকারি ডি জে হাইস্কুলে গেলে দেখা যায়, ১২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের শেরপুর পানি উন্নয়ন শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ভারী বর্ষণের কারণেই করতোয়া নদীতে পানি বেড়েছে।
শেরপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল দুপুরের পর থেকে এই নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে নেমে আসছে পানি। নদী উপচে এই পানি ঢুকে পড়ছে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন বসতবাড়িতে।
পূর্ব ঘোষপাড়ার সুজন মিয়া ও আবদুল মান্নান বলেন, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। আজ সকালে তাঁদের গ্রামের অন্তত ১২টি পরিবার বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোট ফুলবাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে অনেক উঁচুতে তাঁদের বাড়ি। নদীর পানি উপচে সেই বাড়িতেও ঢুকেছে। তাঁরা পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিয়ে কোথায় আশ্রয় নেবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান প্রথম আলোকে বলেন, শেরপুরে পানি ঢুকে অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। দ্রুত একটি তালিকা প্রস্তুত করে পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।