রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার বাড়ির সামনে কাফনের কাপড় ও একটি চিরকুট ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। চিরকুটে লেখা ছিল— ‘প্রস্তুত হ রাজাকার। বাপ— মায়ের দোয়া নে। তোদের দিন শেষ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

হুমকি পাওয়া ওই নেতার নাম খালিদ হাসান মিলু। তিনি এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক। তার বাড়ি মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামে। 

খালিদ হাসান মিলু বলেন, ‘‘শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা আমার বাড়িতে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়। পরে বাড়ির সামনে কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাওয়া যায়।’’ 

আরো পড়ুন:

‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ 

মহাখালী ফ্লাইওভারে ডিভাইডারে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ২

খালিদ হাসান মিলু বলেন, ‘‘শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি বাসায় ফিরি। কিছুক্ষণ পর জানালার পাশ থেকে অপরিচিত একজনের কণ্ঠে শোনা যায়— ‘বাইরে বের হয়ে দেখ।’ বারান্দায় গিয়ে দেখি, টিনের সঙ্গে থাকা কাঠের আড়ায় আগুন জ্বলছে এবং চারপাশে পেট্রলের গন্ধ।’’ 

তিনি বলেন, “আমি বাইরে না গিয়ে প্রথমে প্রতিবেশীদের ডাকি। ধুরইল বাজারের নৈশপ্রহরীও আসে। পরে বাইরে এসে একটি পলিথিন দেখতে পাই। পুলিশ আসার পর সেটি খোলা হয়, ভেতরে কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাওয়া যায়। বৃষ্টির কারণে বাড়ির চারপাশ ভেজা থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েনি। যে অংশে আগুন লেগেছিল, তা আমরা নিভিয়ে ফেলতে পেরেছি। হুমকি পেয়ে আমি উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। চিরকুটে ‘জয় বাংলা’ লেখা থাকায় কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা অনুমান করা কঠিন নয়।”

এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, “এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনো আমাদের এভাবে হুমকি দিচ্ছে, যা প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রমাণ। প্রশাসন যদি কার্যকর পদক্ষেপ নিত, সন্ত্রাসীরা এমন সাহস দেখাতে পারত না। আমরা এ ব্যাপারে জিডি করব।”

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, “রাত পৌনে ১২টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনা তদন্তাধীন।”

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত এনস প চ রক ট এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

চায়ের দোকান থেকে নিউইয়র্ক, পুরস্কার ঘোষণার দিনেই মৃত্যু

কোনো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর প্রথম ছবি দিয়ে ভারতীয় সিনেমার মানচিত্রে আলোড়ন তুললেন; ছবিটি পেল জাতীয় পুরস্কার। আর পুরস্কার ঘোষণার একই দিনে সেই তরুণ চিরতরে চলে গেলেন। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছিল অবতার কৃষ্ণ কৌলের জীবনে।
১৯৩৯ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম নেওয়া কৌলের শৈশবই ছিল বেদনার। বাবার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে একদিন তিনি ঘর ছেড়ে পালালেন। রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিন কাটত, চায়ের দোকানে কিংবা ছোট হোটেলে কাজ করতেন। অভুক্ত থেকেও বই আর শব্দের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। এই অপূর্ণ শৈশবই হয়তো পরে তাঁকে সিনেমার ভেতর মানুষ আর সমাজকে ভিন্ন চোখে দেখার শক্তি দিয়েছিল।

নিউইয়র্কে নতুন জীবন
পরবর্তী সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পেয়ে পৌঁছে গেলেন নিউইয়র্কে। দিনের চাকরির ফাঁকে রাতগুলো কাটত সিনেমা ও সাহিত্য নিয়ে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আর পরে ব্রিটিশ ইনফরমেশন সার্ভিসে কাজ করলেও তাঁর আসল পৃথিবী ছিল অন্যত্র। সহকর্মীরা প্রায়ই দেখতেন, হাতে উপন্যাস বা নোটবুক নিয়ে বসে আছেন কৌল। তাঁর চোখে তখন এক স্বপ্ন—চলচ্চিত্র নির্মাণ।

‘২৭ ডাউন’–এর শুটিং চলছে। ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ