উখিয়ায় একে-৪৭সহ তরুণের আত্মসমর্পণ, বিজিবি বলছে আরাকান আর্মির সদস্য
Published: 11th, August 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে অস্ত্রসহ এক তরুণ আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তিনি বিজিবি সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
বিজিবি বলছে, আত্মসমর্পণ করা তরুণ সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্য। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের একটি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁর কাছে একটি একে-৪৭ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৫২ রাউন্ড গুলি ছিল। আরাকান আর্মির ওই সদস্য নিজেকে জীবন তঞ্চঙ্গ্যা (২১) নামে পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গর্জবুনিয়া গ্রামে বলে দাবি করছেন তিনি।
বিজিবি উখিয়া ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, আত্মসমর্পণকারী ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক দাবি করেছেন। তাঁর পরিচয় ও নাগরিকত্ব যাচাই করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছেন। তাঁর দাবি, ওই ক্যাম্প থেকে আরও অন্তত ৩০০ আরাকান আর্মি সদস্য পালিয়েছেন, যাঁদের কেউ কেউ যেকোনো সময় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারেন।
বিজিবি জানিয়েছে, অস্ত্র ও গুলিসহ ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং উখিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যে থেমে থেমে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) বা আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বিজিবি কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, শূন্যরেখা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে গোলাগুলি হয়েছে। তবে কোনো গুলি বাংলাদেশের ভেতরে আসেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
উখিয়ায় একে-৪৭সহ তরুণের আত্মসমর্পণ, বিজিবি বলছে আরাকান আর্মির সদস্য
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে অস্ত্রসহ এক তরুণ আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তিনি বিজিবি সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
বিজিবি বলছে, আত্মসমর্পণ করা তরুণ সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্য। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের একটি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁর কাছে একটি একে-৪৭ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৫২ রাউন্ড গুলি ছিল। আরাকান আর্মির ওই সদস্য নিজেকে জীবন তঞ্চঙ্গ্যা (২১) নামে পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গর্জবুনিয়া গ্রামে বলে দাবি করছেন তিনি।
বিজিবি উখিয়া ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, আত্মসমর্পণকারী ব্যক্তি নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক দাবি করেছেন। তাঁর পরিচয় ও নাগরিকত্ব যাচাই করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছেন। তাঁর দাবি, ওই ক্যাম্প থেকে আরও অন্তত ৩০০ আরাকান আর্মি সদস্য পালিয়েছেন, যাঁদের কেউ কেউ যেকোনো সময় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারেন।
বিজিবি জানিয়েছে, অস্ত্র ও গুলিসহ ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং উখিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যে থেমে থেমে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) বা আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বিজিবি কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, শূন্যরেখা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে গোলাগুলি হয়েছে। তবে কোনো গুলি বাংলাদেশের ভেতরে আসেনি।