ছক্কার সব রেকর্ড কি ভাঙবে এবার, পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও
Published: 12th, August 2025 GMT
টি-টোয়েন্টি ছক্কার খেলা। এতটাই যে আফগানিস্তানের প্রধান টি-টোয়েন্টি লিগের নাম শ্পাগিজা ক্রিকেট লিগ বা ছক্কা ক্রিকেট লিগ। ছক্কার সেই ক্রিকেটে দিন দিন ছক্কার পরিমাণ শুধু বাড়ছেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই গত বছর মোট ছক্কার রেকর্ড হয়েছে। তাতে অবশ্য দল ও ম্যাচের সংখ্যারও অবদান আছে। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ৫,৯৯৮টি ছক্কা দেখেছিল।
২০২৫ সালের দুই-তৃতীয়াংশ কাটতে না কাটতেই হুমকির মুখে পড়ে গেছে সেই রেকর্ড। এ বছর এ পর্যন্ত ৩,৬৫৭টি ছক্কা দেখে ফেলেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। বছরের শেষ পাঁচ মাসে আর ২,৩৪৩টি ছক্কা হলেই প্রথমবার ৬ হাজার ছক্কার মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।
এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কাগত বছর ৬৫৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল। এবার ১১ আগস্ট পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে ৩২৪টি। এবার ম্যাচপ্রতি যে পরিমাণ ছক্কা হচ্ছে, রেকর্ড ভাঙতে ৬৫৪টি ম্যাচের দরকার হবে না। এবার প্রতি ম্যাচে গড়ে ছক্কা হয়েছে ১১.
ছক্কার প্রভাব পড়েছে স্কোরকার্ডেও। এ বছর ব্যাটসম্যানদের মোট রানের ২৬.২৯ শতাংশই এসেছে ছক্কায়। অর্থাৎ, চার ভাগের এক ভাগ রানই এসেছে ছক্কা থেকে। এবারই প্রথমবার শতকরা হিসাবে ছক্কার অবদান ২৫ ছাড়াল। আগের রেকর্ডটা ছিল ২৪.৬৮, ২০১৮ সালের ঘটনা সেটি।
এ বছর ৭৪টি ছক্কা মেরে সূর্যকুমার যাদবের এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড ভেঙেছেন অস্ট্রিয়ার করণবীর সিংউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আসিফের মন্তব্য নিয়ে বাফুফের কাছে দুঃখপ্রকাশ বিসিবির
ফুটবল ও ফুটবলারদের নিয়ে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবরের অবমাননাকর মন্তব্য নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) চিঠি দিয়েছে বিসিবি।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বরাবর পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠানে যে তথাকথিত বক্তব্যটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সেই বক্তব্যটি তিনি প্রদান করেছিলেন জেলা প্রতিনিধিত্বকারী কাউন্সিলর হিসেবে, একজন বোর্ড পরিচালক হিসেবে নয়। আমার জানা মতে, তিনি তাঁর নিজ জেলার ক্রিকেট কার্যক্রম ও মাঠ ব্যবহার–সংক্রান্ত কিছু দীর্ঘদিনের হতাশা ও জটিলতা থেকে ব্যক্তিগত ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভবত উক্ত বক্তব্য প্রদান করেছেন।’
আরও পড়ুনআসিফের মন্তব্য নিয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা চেয়েছে বাফুফে১০ নভেম্বর ২০২৫আসিফের মন্তব্যের সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্টতা নেই, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত সেই চিঠিতে এমন বার্তাও দেওয়া আছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত মতামত কখনোই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আপনার অবগতির জন্য আমি সুদৃঢ়ভাবে আরও জানাতে চাই, বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স ২০২৫–এ প্রদানকৃত বক্তব্যটি ছিল সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি এবং সেটিকে বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের বক্তব্য হিসেবে বিবেচনা করা সম্ভব হবে না।’
আসিফের মন্তব্যের সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের সংশ্লিষ্টতা নেই, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এমন বার্তাও দেওয়া আছে