কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন সাময়িক বরখাস্ত
Published: 11th, September 2025 GMT
কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এক সাংবাদিককে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
এ-সংক্রান্ত মামলায় আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান যুগ্ম সচিব (ওএসডি) সুলতানা পারভীনকে বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সুলতানা পারভীন গত ২ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে ফৌজদারি মামলায় (মামলা নং-১৩৪৫/২০২৫; জিআর ৮৩/২০২০ কুড়িগ্রাম) জামিন প্রার্থনা করলে আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
তাই, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী সরকার তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা প্রয়োজন ও সমীচীন মনে করে। এ কারণে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় জেলা প্রশাসন। ঘরে তল্লাশি চালানো না হলেও পরে ডিসি অফিসে নেওয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরিফুলের পরিবারের দাবি, কুড়িগ্রামের তৎকালীন ডিসি মোছা.
পরে এই ঘটনায় বিভাগীয় মামলায় শাস্তি হিসেবে দুই বছরের জন্য সুলতানা পারভীনের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর সেই লঘুদণ্ড বাতিল করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন ওই সাংবাদিক।
সরকার পরিবর্তনের পর সাংবাদিকের নির্যাতনের মামলায় সম্প্রতি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেল হাজতে পাঠানোর পর জামিন মঞ্জুর না করার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক বরখ স ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যের দিন শেষ হবে একদিন
জানুয়ারি ২০১৮: সংকল্পের দিন
এক সন্ধ্যায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একা বসে বসে নানা সামাজিক-অর্থনৈতিক চিন্তার সামনে মাথা হেঁট হয়ে আসছিল। মনকে প্রবোধ জানাতে পারছিলাম না—নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষের দুঃখ-কষ্ট, জরা, নদীপাড়ের ঘর হারানো কিংবা শহরের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানো মলিন মুখের মানুষের জন্য কী করতে পারছি? নিজের আখের গোছানো ছাড়া আর কোনো ভাবনার পেছনেই তো দৌড়াচ্ছি না।
তত দিনে কোটা সংস্কার আন্দোলন, সড়ক আন্দোলনের টুকটাক অভিজ্ঞতা হয়েছে। দিনভর ক্লাস করি, সন্ধ্যায় ঢুঁ মারি ডিবেট ক্লাবের সেশনে।
সেই সন্ধ্যার পর বেশ কয়েক মাসের মনের তোলপাড় আমাকে নিয়ে গেল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সংঘে৷ ভাবলাম, কাঠামোগত পরিবর্তনের কথা, যোগ দিতে চাইলাম সে কাফেলায়, যেখানে পাব আরও সব সমমনা মানুষ।
কাঠামোগত পরিবর্তনের সে ভাবনার মূলে ছিল নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষ, সর্বোপরি রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সমান মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের অভিপ্রায়। যার দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোব্যবস্থা, দূর হবে শ্রেণিভেদ বৈষম্য।
১৮ জুলাই ২০২৪: স্বপ্ন দেখার দিনএক আগুনের দিন। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের মনে শঙ্কা, ২০১৮ সালের মতো এবারও বুঝি মাঠে মারা গেল ‘বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন’। না, ঘটল খুবই অভাবনীয় এক বাঁকবদল। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সিলেবাসে না থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রামপুরা থেকে উত্তরা, ঢাকা শহরের নানা প্রান্তে নেমে এল হাজারে হাজার।
বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, আওয়ামী-ছাত্রলীগের পান্ডাদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে মিছিলের কাতারে যোগ দিল। কী অসম আর দুঃসহ এক লড়াই। কী অবিশ্বাস্য বৈষম্যপূর্ণ এক লড়াই। আত্মরক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে রইল লাঠি, চোখে গগলস, মুখে মাখানো পেস্ট। আর সরকারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিল কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেটসহ অত্যাধুনিক সব মারণাস্ত্র।
চাকরিতে কোটার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার দাবি নিয়ে যে শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেটি রূপ নিল নির্মম সহিংসতায়। শহীদ হলো ৪০ জনের বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বৈষম্য দূরীকরণের আওয়াজ যারা তুলেছিল, অগ্নিঝরা স্লোগানে গলা মিলিয়েছিল, রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রাপ্য হিস্যা ও অহিংস শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর জবাবদিহি চাইতে গিয়েছিল, তাদের অনেকেই শরীরে বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেলের ভয়াবহ ক্ষত নিয়ে বেঁচে রইল।
সব ক্ষত, লাশের বিপরীতে ১৮ জুলাইয়ের রয়েছে ভিন্ন এক দিক। সেদিন যেন ছিল ভিন্ন ভিন্ন সুরের ঐকতানের দিন। কাঁধে কাঁধ রেখে দিনটা আমরা পার করেছিলাম। আন্দোলনের সমন্বয়কারী হিসেবে পেয়েছিলাম সহযোদ্ধাদের নিখাদ ভালোবাসা। আমার যা যা দায়িত্ব ছিল, সেসব যেন অক্লেশেই হয়ে যাচ্ছিল সহযোদ্ধাদের সহযোগিতায়। সহযোদ্ধাদের নির্দেশনা দিচ্ছিলাম আহত ব্যক্তিদের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যেতে, কোনো সহিংসতামূলক কাজ না করতে, গুলি করতে করতে পাকড়াও হওয়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে, সেদিন মাইক না থাকায় জমায়েত করে সবাইকে সন্ধ্যা নামার আগেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করতে—সবই তারা শুনেছিল পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে।
এ রকম এক বিরল অভিজ্ঞতার দিনে একফাঁকে কিছু মুহূর্তের জন্য বুকে কাঁপন ধরেছিল। ভাবছিলাম, এরাই তো আমার সহযোদ্ধা, জীবনের মহৎ ডাকে নিজের শ্রেষ্ঠ সম্পদ প্রাণের মায়াকে যারা তুচ্ছজ্ঞান করছে। হাজার হাজার মানুষ মিলে আমরা যেন এক অভিন্ন সত্তা হয়ে উঠেছি। কারও চোখে নেই লৈঙ্গিক বৈষম্যের খরদৃষ্টি, নেই পরিচয়ের রাজনীতির বাগাড়ম্বর। হাতে হাত রেখে সমাজ, রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া সব বৈষম্যের শেষ দেখে নেওয়াই যেন শেষ কথা।
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫: স্বপ্নভঙ্গের দিনজাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি আমিসহ নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের প্রতিনিধিরা।
গণ–অভ্যুত্থানের পর কেটে গেছে এক বছরের বেশি। বিদ্যমান বৈষম্যপূর্ণ সিস্টেম বদলের উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে। দিনবদলের সাথি হতে পারব বলে মনে বেশ আশার সঞ্চার হয়েছিল গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী দিনগুলোয়। কিন্তু দেখা গেল, আমাদের দিনবদলের কারিগরেরা নতজানু মানসিকতার, দৃঢ়প্রত্যয়ী নন। লৈঙ্গিক বৈষম্যের দোষে দুষ্ট।
মিটিংয়ে যাওয়ার আগেই আমরা জানতে পারি, নানাবিধ সংস্কার কমিশনের মধ্যে নারী সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনীতিতে ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীর সমান অংশগ্রহণের জন্য যেসব প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, সেগুলোর ৯৯ শতাংশই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। নারীর জন্য সংস্কারপ্রক্রিয়া আটকে দিচ্ছে গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজপথে আগুনঝরা দিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা!
মিটিং চলাকালে খোদ ঐকমত্য কমিশনের প্রতিনিধির কাছ থেকে আমরা জানতে পারি, চারটি রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলের রাজনীতিবিদেরা নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নারী প্রার্থীদের সরাসরি নির্বাচন এবং ইসি প্রস্তাবিত জাতীয় নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে মাছের বাজারের মতো দরাদরি করেছেন, প্রস্তাবিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছেন অসংখ্যবার, নিয়মিত। শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে নারীর সংস্কারের প্রস্তাবগুলো গৃহীত হয়নি।
মিটিং চলাকালে মাছের বাজারের মতো দরাদরির কথা যখন শুনছিলাম, তখন উপহাসের হাসিও হাসতে পারছিলাম না। বিতৃষ্ণায় গলা জ্বলছিল। ভাবছিলাম, কয়েক মাস আগে নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ে ‘জুলাইয়ের কন্যারা আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেব না’ শিরোনামে করা একটি প্রোগ্রামের কথা। সেখানে জুলাই কন্যাদের দেওয়া হয় ক্রেস্ট। গণ–অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টোকেন হিসেবে ব্যবহার করা হয় নারীদের। নারীদের সাহস, বুদ্ধিমত্তা ও আন্দোলনের ভূমিকা নিয়ে বানানো হয় চাঞ্চল্যকর নানা ভিজ্যুয়াল।
কিন্তু কয়েক মাসের ব্যবধানে ‘টোকেনিজম’কে ছাপিয়ে যথাযথ রাজনৈতিক-সামাজিক-লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিতের দরাদরির অকশনে আমরা হয়ে উঠি পণ্য৷ ইসি ঘোষিত ৩৩ শতাংশ নারীর সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা নারী অবান্ধব রাজনৈতিক দলের নেতারা এড়িয়ে গিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণের দরাদরি শুরু ১২ শতাংশ থেকে, পরে এসে স্থির হয় ৫ শতাংশে, তা–ও আবার সেটি বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।
শেষ পর্যন্ত নারীর বিপক্ষে যাওয়া রাজনৈতিক নেতারাই বনে যান নারীর রাজনৈতিক ভাগ্য নির্মাতা। কী নির্মম বৈষম্য!
ঐকমত্য কমিশনের একজন প্রতিনিধি স্বীকার করে নেন যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রস্তাবের পক্ষে রাজি করাতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করা ও সংরক্ষিত আসনে নারীর সরাসরি নির্বাচনসহ রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম থেকে আমরা যে প্রস্তাবগুলো নিয়ে গিয়েছি, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
মাথার ভেতর অনেক শব্দহীন কথা নিয়ে, স্লান মুখে আমরা মিটিংয়ে ইস্তফা দিলাম।
১৫ অক্টোবর ২০২৫: তবু স্বপ্ন দেখি১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকে ২০২৫ পর্যন্ত বয়সকাল ৫৪ বছর ১০ মাস। এ সময়ে প্রতিটা সরকারই জনগণের জীবনমান পরিবর্তনের বাণী নিয়ে মাঠে হাজির হয়েছিল। কিন্তু বৈষম্যের অলাতচক্রেই বন্দী হয়ে রয়ে গেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বৈশ্বিক সূচকে প্রায় তলানিতে বাংলাদেশের মান। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের কাছাকাছি থাকা দেশগুলো যুদ্ধবিধ্বস্ত। বাংলাদেশের নাগরিকেরা বছরের পর বছর মৌলিক চাহিদা, মানসিক শান্তির খোঁজ করতে করতে হয়রান। কিন্তু প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আশায় বুক বেঁধেছে বারবার। বুকের রক্ত দিয়ে শামিল হয়েছে তিন তিনটি ঐতিহাসিক গণ–অভ্যুত্থানে।
মনে বিশ্বাস রাখি, ট্রাই অ্যান্ড এররের মধ্য দিয়েই মানবসভ্যতা এগিয়েছে। গত ৫৩ বছরে যেসব সামাজিক-রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক-লৈঙ্গিক-জাতিগত-শ্রেণিগত বৈষম্য বাংলাদেশ থেকে দূর করা সম্ভব হয়নি; টু বি অর নট টু বির দোলাচল কাটিয়ে তার বিপরীত দিকটাকে আমরা ছোট ছোট ঐক্যের বড় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাস্তব করে তুলব।
বুকভর্তি আশা আমাদের সাহস জোগায়, আর সাহসের চেয়ে বেশি সংক্রামক কীই–বা আছে এই পৃথিবীতে!
নাজিফা জান্নাত: সাবেক সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ২০২৪