বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক পদত্যাগ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বর্তমান সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তার পদে থাকা নিয়ে আপত্তি ওঠে। এরপর তাঁকে প্রধান কার্যালয় থেকে বদলি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী অফিসে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আজ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আজ বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুই ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান ও নীতি উপদেষ্টা একদল কর্মকর্তাদের চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। নতুন গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

জানা যায়, মেজবাউল হক ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। ওই দিনই তাঁকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সেই সূত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেওয়া বিভিন্ন ডিজিটাল লেনদেন উদ্যোগের সম্পৃক্ত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদত য গ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আগামীকাল চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে এসইও ও এআই নিয়ে সম্মেলন

সারা বিশ্বে ডিজিটাল বিপণন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ডিজিটাল জনশক্তিকে বিশ্বমানের হিসেবে গড়ে তুলতে আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রামের সিটি গেট এলাকার সুজানা স্কয়ারে শুরু হচ্ছে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এবং এআই নিয়ে সম্মেলন। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় চার শতাধিক এসইও পেশাজীবী, ফ্রিল্যান্সার, আইটি উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল বিপণন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সম্মেলনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান জায়ান্ট মার্কেটার্স।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্মেলনে একাধিক সেশন, প্যানেল আলোচনা, কেস স্টাডি এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব আয়োজন করা হবে। এসব পর্বে এসইও ও এআই প্রযুক্তির সমন্বয়ে কীভাবে অনলাইন ব্যবসা ও ক্যারিয়ারের উন্নয়ন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি সফল হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জায়ান্ট মার্কেটার্সের প্রতিষ্ঠাতা মাসুম বিল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণেরা আজ দক্ষতার সঙ্গে সারা বিশ্বে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী দিনের কাজের বাজারে এআই হবে প্রধান শক্তি। এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা দেশের তরুণদের এক প্ল্যাটফর্মে এনে ভবিষ্যতের ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই।’

সম্মেলনের সহ-আয়োজক এআই অটোমেটিকের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আউয়াল বলেন, ‘এই সম্মেলন শুধু শেখার জায়গা নয়, বরং এটি অভিজ্ঞতা বিনিময় ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরির একটি বড় মাধ্যম। দেশের প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ