পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি কোম্পানির উৎপাদন বর্তমানে বন্ধ আছে। এসব কোম্পানিকে নিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হয়। এর ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হন এবং শেয়ারের দাম কারসাজির শিকার হন। কারসাজি ও গুজব ঠেকাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) উৎপাদন বন্ধ রাখা কোম্পানিগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট থেকে এ তালিকা পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন:

হামিদ ফেব্রিক্সের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা

বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিলে দেরি, ফারইস্ট ফাইন্যান্সকে সতর্কবার্তা

ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.

শফিকুর রহমান রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএসই প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, উৎপাদন বন্ধ রাখা কোম্পানিগুলো হলো—অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, অ্যারামিট সিমেন্ট, আজিজ পাইপস, বারাকা পাওয়ার, দুলামিয়া কটন, এমারেল্ড অয়েল, ফ্যামিলি টেক্স (বিডি), জিবিবি পাওয়ার, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, খুলনা পাওয়ার, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেট্রো স্পিনিং মিলস, মিথুন নিটিং, নিউ লাইন ক্লোথিংস, নর্দার্ন জুট, নুরানি ডায়িং, প্রাইম টেক্সটাইল, আরএসআরএম, রিজেন্ট টেক্সটাইল, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, তুং হাই নিটিং, ইয়াকিন পলিমার, জাহিন স্পিনিং মিলস, শ্যামপুর সুগার মিলস, উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি, রহিমা ফুড কর্পোরেশন ও হামিদ ফ্যাব্রিক্স।

এর মধ্যে শ্যামপুর সুগার মিলস ও উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এ কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহ করলেও দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।

এই তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে হামিদ ফ্যাব্রিক্স। কোম্পানিটি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে গত ১২ আগস্ট রহিমা ফুড কর্পোরেশন উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে।

ঢাকা/এনটি/রফিক 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন বন ধ বন ধ র ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

৯০ বছর বেদখলে থাকা জমি বুঝে পেল মুকসুদপুর থানা পুলিশ

প্রায় ৯০ বছরের বেশি সময় ধরে বেদখলে থাকা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার সাড়ে ৭ শতাংশ জমি অবশেষে বুঝে পেয়েছে পুলিশ।

মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ১৯১৭ সালে মুকসুদপুর থানার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর পাশের পরিত্যক্ত জমিতে আশ্রয় নিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার। কয়েক বছরে থানা কর্তৃপক্ষ কয়েকবার তাদের নোটিস দেয় জমি ছেড়ে দিতে। কিন্তু, তারা গড়িমসি করে। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে মুকসুদপুর থানা পুলিশ আলোচনা করে জমি ছেড়ে দিতে বললে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তারা দখল করা জমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। 

তিনি বলেছেন, “আমরা আমাদের জমি দীর্ঘদিন পরে বুঝে পেয়েছি। তারা থানার জমি দখল করে থাকায় আমরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ছিলাম। যেহেতু, তাদের স্থাপনা আমাদের থানার সীমানার কোল ঘেঁষে ছিল, এর ফলে সীমানা প্রাচীর তুলতে পারছিলাম না। এ জমিতে সীমানা প্রাচীর তোলা হলে থানার নিরাপত্তা বাড়বে।” 

ঢাকা/বাদল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ