‘সব দলই ভারতকে হারাতে পারে, বাংলাদেশেরও বিশ্বাস আছে’
Published: 23rd, September 2025 GMT
‘আপনি তাহলে ফাইনালের পরই হাসবেন?’—প্রশ্নটা শুনে ইতিবাচক উত্তরই দিলেন ফিল সিমন্স। কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস, মুখে একটু মুচকি হাসি।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ যে একেবারেই হাসেন না, তা নয়। তবে মাঠে তাঁর মুখ বেশির ভাগ সময়ই থাকে গম্ভীর।
শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পরও ছিলেন একই রকম। নির্লিপ্ত সেই চেহারার ছবিটা ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসা সিমন্সের কাছেই সেই প্রসঙ্গ তোলা হয়।
সিমন্সের উত্তর শুনে বাংলাদেশের সমর্থকেরা স্বপ্ন দেখতে পারেন আরও বড় কিছুর, ‘আমি এমন একজন, যে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমরা শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জিততে আসিনি। আমরা এসেছি চ্যাম্পিয়ন হতে। বাদ পড়লে বা চ্যাম্পিয়ন হলে তখনই আবেগ দেখা যাবে। তবে এখন আমার কাজ ড্রেসিংরুমে সবার পা মাটিতে রাখা।’
গ্রুপ পর্বে রানার্সআপ হয়ে এলেও সুপার ফোরে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারানোর পর এখন তাদের হাতছানি দিচ্ছে এশিয়া কাপের ফাইনাল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে কঠিন প্রতিপক্ষ ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই জেতার পর সুপার ফোরেও তারা পাকিস্তানকে হারিয়েছে। ভারতকে কি হারানো সম্ভব?
সিমন্সের উত্তর, ‘সব দলেরই ভারতকে হারানোর সক্ষমতা আছে। খেলাটা হয় একটা নির্দিষ্ট দিনে। ভারত আগে কী করেছে, সেটা তখন কোনো কাজে আসে না। ম্যাচের দিন, ওই সাড়ে তিন ঘণ্টায় কী হলো—সেটাই আসল। আমরা আমাদের সেরাটা খেলব, ভারতের ভুলের অপেক্ষায় থাকব। এভাবেই ম্যাচ জেতা যায়।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স মন স
এছাড়াও পড়ুন:
খানপুর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি সিজন-২'র ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে মডেল গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ঐতিহ্যবাহী খানপুর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি সিজন-২ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে খানপুর চ্রিলডেন পার্ক মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দল ও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ফাইনাল খেলায় আস্থা ফাউন্ডেশনের দেয়া ১০২ রান তাড়া করতে নেমে ১০০ করে নেমেসিস। ফলে ২ রানে আস্থা ফাউন্ডেশন চ্যাম্পিয়ন হয়।
এসময়ে বক্তব্যে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, এই খেলার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন মডেল গ্রুপের কর্নধার নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ ভাই।
তিনি একদিকে যেমন সফল ব্যবসায়ী অন্যদিকে তিনি একজন রাজনীতিবিদ ও ক্রীড়া প্রেমী ব্যক্তিত্ব। আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা আপনারা সবাই মাসুদ ভাইকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত নারায়ণগঞ্জ সুন্দর ও মানবিক নারায়ণগঞ্জ দেখতে চাই। তার জন্য মাসুদ ভাইয়ের বিকল্প নাই। নারায়ণগঞ্জের মানুষের কল্যাণে সব সময় মাসুদ ভাই কাজ করবেন। আপনারা মাসুদ ভাইয়ের সাথে থাকবেন আমরা মাসুদ ভাইয়ের পাশে আছি।
তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে তরুণ ও যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এদেশে সাড়ে চার হাজার কোটি তরুণ ও যুবক ভোটার রয়েছে। তারা তাদের নিজেদের অপকর্ম আখের গোছাতে তরুণ ও যুব সমাজকে ভোট থেকে বিরত রাখত।
তারা এদেশের তরুন ও যুব সমাজের উপর মাদক তুলে দিয়েছিল। আগামী দিনে ক্রীড়াঙ্গনে বেশি বেশি করে খেলাধুলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। ফলে তরুণ ও যুবসমাজ খেলাধুলা প্রেমি হবে এবং মাদক ও খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকবে।
খানপুর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি সিজন - ২ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত মডেল গ্রুপের ডিরেক্টর শামীম আহম্মেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মডেল গ্রুপের ডিরেক্টর জিএম মনির হোসেন সরদার, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইছাল উদ্দিন মাহমুদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক শামাল সরদার, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, আরমান, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, শাহীন শরীফসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।