‘আপনি তাহলে ফাইনালের পরই হাসবেন?’—প্রশ্নটা শুনে ইতিবাচক উত্তরই দিলেন ফিল সিমন্স। কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস, মুখে একটু মুচকি হাসি।

বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ যে একেবারেই হাসেন না, তা নয়। তবে মাঠে তাঁর মুখ বেশির ভাগ সময়ই থাকে গম্ভীর।

শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পরও ছিলেন একই রকম। নির্লিপ্ত সেই চেহারার ছবিটা ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসা সিমন্সের কাছেই সেই প্রসঙ্গ তোলা হয়।

সিমন্সের উত্তর শুনে বাংলাদেশের সমর্থকেরা স্বপ্ন দেখতে পারেন আরও বড় কিছুর, ‘আমি এমন একজন, যে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমরা শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জিততে আসিনি। আমরা এসেছি চ্যাম্পিয়ন হতে। বাদ পড়লে বা চ্যাম্পিয়ন হলে তখনই আবেগ দেখা যাবে। তবে এখন আমার কাজ ড্রেসিংরুমে সবার পা মাটিতে রাখা।’

গ্রুপ পর্বে রানার্সআপ হয়ে এলেও সুপার ফোরে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারানোর পর এখন তাদের হাতছানি দিচ্ছে এশিয়া কাপের ফাইনাল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে কঠিন প্রতিপক্ষ ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই জেতার পর সুপার ফোরেও তারা পাকিস্তানকে হারিয়েছে। ভারতকে কি হারানো সম্ভব?

সিমন্সের উত্তর, ‘সব দলেরই ভারতকে হারানোর সক্ষমতা আছে। খেলাটা হয় একটা নির্দিষ্ট দিনে। ভারত আগে কী করেছে, সেটা তখন কোনো কাজে আসে না। ম্যাচের দিন, ওই সাড়ে তিন ঘণ্টায় কী হলো—সেটাই আসল। আমরা আমাদের সেরাটা খেলব, ভারতের ভুলের অপেক্ষায় থাকব। এভাবেই ম্যাচ জেতা যায়।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স মন স

এছাড়াও পড়ুন:

তিন বছরের সাজা এড়াতে পালিয়ে বেড়ান ৪ বছর, অবশেষে ধরা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা থেকে ফিরোজ বাবু (৩৫) নামের এক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডাকাতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। ২০২১ সালে মাদক মামলায় ফিরোজের তিন বছরের সাজা হয়। তবে সাজা এড়াতে তিনি চার বছরের বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন।

গ্রেপ্তার ফিরোজ বাবুর বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার এখলাশপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে তিনি।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাতে মতলব উত্তর থানা-পুলিশ এখলাশপুর গ্রামে ফিরোজের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে লুণ্ঠিত কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ বাবুর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ডাকাতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়। ওই বছরের জুলাইয়ে করা মাদক মামলার রায়ে তিন বছরের সাজা দেন চাঁদপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর পর থেকে তিনি বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ছিলেন।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক বলেন, গ্রেপ্তার ফিরোজ বাবুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। কয়েক দিন আগেও তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ