সম্পন্ন হলো জুবিন গার্গের শেষকৃত্য
Published: 23rd, September 2025 GMT
মৃত্যুর পাঁচ দিন পরে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের। আসামের কামারকুচি এনসি গ্রামে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জুবিনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়৷
জুবিন ছিলেন নিঃসন্তান। তার মুখে আগুন দিলেন ছোট বোন পামী বড়ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন জুবিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অরুণ এবং কবি-গীতিকার রাহুল। আসাম পুলিশ গান স্যালুট জানান এই বিখ্যাত গায়ককে।
আরো পড়ুন:
ঢাকায় হানিয়া আমির, ভক্তদের জন্য বিশেষ চমক
ফের বিয়ে করলেন শবনম ফারিয়া
এদিন উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। লাখ লাখ অনুরাগীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। চন্দন কাঠে সাজানো চিতায় তোলা হয় গায়কের দেহ৷ পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণে চোখের জলে জুবিনকে শেষ বিদায় জানায় আসাম ৷
সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মন্ত্রী এবং আসাম গণপরিষদের (এজিপি) কার্যকরী সভাপতি কেশব মহন্ত জানিয়েছেন, ‘‘কামারকুচির শেষকৃত্যস্থলে জুবিন গার্গের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য ১০ বিঘা জমি নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষে।’’
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী অতুল বোরার মন্তব্য, “জুবিন গার্গের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই স্মৃতিসৌধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পুরো আসামের মানুষ জুবিনকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। জুবিনের বিপুল জনপ্রিয়তার জন্যেই আসামের পাশাপাশি পুরো দেশের মানুষ এখানে এসেছেন।”
এদিকে প্রয়াত গায়কের শেষ স্মৃতি আঁকড়ে রাখতে তার পায়ের ছাপ নিয়ে মোম দিয়ে পাদুকা তৈরি করেছেন শিল্পী দিগন্ত ভারতী। নেটপাড়ার ভাইরাল সেই ছবি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অনুরাগীরা।
প্রসঙ্গত, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জানিয়েছিল, ‘‘পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে গায়কের। তার পরেও থেকে গিয়েছিল বেশ কিছু ধোঁয়াশা। তাই মঙ্গলবার ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আসাম সরকার।’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফার্গি টাইম’ গোলে টটেনহামের সঙ্গে ড্র ইউনাইটেডের
টটেনহাম ২–২ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
নির্ধারিত সময় শেষ। যোগ হওয়া সময়ের প্রথম মিনিটেই রিচার্লিসনের গোল! টটেনহাম স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার উল্লাস। মনে হচ্ছিল, আশা শেষ, এই ম্যাচে আর কিছু করতে পারবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিলেন মাথিয়াস ডি লিখট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে। ৯৬ মিনিটে তাঁর দুর্দান্ত হেড গেল টটেনহামের জালে, ২-২ সমতার পর বাজল শেষ বাঁশি। নাটকীয় এক ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করল দুই দল।
উত্তর লন্ডনে আজ ইউরোপা লিগ ফাইনালের পুনর্মিলনীটা শেষ পর্যন্ত যে এমন রোমাঞ্চকর থ্রিলারে রূপ নেবে তা অবশ্য শুরুতে বোঝা যায়নি। ৩২তম মিনিটে ব্রায়ান এমবিউয়োমোর গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। বিরতির আগে ওই একটাই গোল। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজতেই টটেনহামের গ্যালারিতে শোনা যায় অসন্তুষ্ট দর্শকের দুয়ো। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে মাত্র তিনটি জয়, স্পার্স সমর্থকদের ধৈর্য যেন শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে ছবিটা পাল্টে দেন বদলি খেলোয়াড় মাথিস তেল। ৮৪ মিনিটে তাঁর গোলেই সমতায় ফেরে টটেনহাম।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রিচার্লিসনের গোলে ২–১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল টটেনহাম