বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানির অগ্রিম অর্থ প্রদানের নিয়ম সহজ করেছে
Published: 23rd, September 2025 GMT
আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম অর্থ প্রদানের সীমা সংশোধন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ মঙ্গলবার এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, এখন থেকে আমদানিকারকেরা ২০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত রিপেমেন্ট গ্যারান্টি ছাড়া অগ্রিম পরিশোধ করতে পারবেন। আগে এই সীমা ছিল ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করা ও আমদানির প্রক্রিয়া আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে রপ্তানিকারকদের রিটেনশন কোটা হিসাব থেকে অগ্রিম অর্থ প্রদানের সীমা ২৫ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার ডলার করা হয়েছে।
দেশের শিল্প–সংশ্লিষ্টরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে। এই সীমা বৃদ্ধির ফলে আমদানিকারকদের পক্ষে কম খরচে ও দ্রুত সময়ে অর্থ দেওয়া সম্ভব হবে। এতে সময় ও অতিরিক্ত খরচ উভয়ই কমবে।
এই নীতিগত সংশোধন দেশের সামগ্রিক বাণিজ্যিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পটভূমিতে বাণিজ্যের ব্যবস্থা আরও সহজ করার উদ্যোগের অংশ। নীতিসহায়তার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ সময়োপযোগী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
একে একে সবাই উঠে দাঁড়ালেন, করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন: আয়রনম্যান আরাফাত
সেই অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক আমি। বাসার কাছেই ছিল একটি ওষুধের দোকান। সেখানে পত্রিকা রাখা হতো। স্কুলে যাওয়া–আসার পথে সেই দোকানে বসে পত্রিকা পড়তাম।
কলেজে ওঠার পর প্রথম আলোতে একদিন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর পড়ি। পড়ে রোমাঞ্চিত হই। চিন্তা করি, কীভাবে সম্ভব সাগরে সাঁতার কাটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও সেটি মাথায় ছিল। ২০১৩ সালে সাঁতারু লিপটন সরকার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পার হওয়ার ইচ্ছার কথা তাঁকে জানালাম। তিনি উৎসাহ দিলেন। শুরু হলো অনুশীলন। ২০১৫ সালে সাঁতরে পাড়ি দিলাম ওই চ্যানেল। সেই খবর ছাপল প্রথম আলো। কাছের-দূরের, কম পরিচিত-বেশি পরিচিত—সবাই খবরটা জেনে শুভেচ্ছা জানালেন। অনেক উৎসাহ পেলাম।
আমার রোমাঞ্চকর যাত্রা অব্যাহত থাকল। ২০১৭ সালে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার মিশনে নামলাম। উদ্দেশ্য ছিল ‘দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থতা’র বার্তা ছড়ানো। ২০ দিনের সেই যাত্রার গল্প ছাপা হলো ‘ছুটির দিনে’তে। শিরোনাম আজও মনে আছে, ‘দৌড়ে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া’। খবরটি দেখে সেই দিন এতটা নার্ভাস লাগছিল যে সারা দিন আর কোনো কাজ করতে পারিনি।
‘চ্যালেঞ্জ রথ’ ট্রায়াথলনে বাংলাদেশের মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত