মহেশখালীর মনির হত্যার রহস্য উদঘাটন, ২ আসামির জবানবন্দি
Published: 23rd, September 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বহুল আলোচিত মনির আহমদ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ তদন্ত ব্যুরো (পিবিআই)। দীর্ঘ ৯ মাস পর এ মামলার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান।
আরো পড়ুন:
সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা
ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা: স্বামীর যাবজ্জীবন
পুলিশ সুপার জানান, ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর ভোর রাতে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা পাট্টাছড়ি ঘোনা এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় মাছ ব্যবসায়ী মনির আহমদকে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মহেশখালী থানায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে থানা পুলিশ মামলার তদন্ত করে ৩৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং ৬ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ১০ জন জামিনে মুক্তি পান, ১ জন কারাগারে রয়েছেন এবং ৩ জন এখনো পলাতক।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘‘হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে চলতি বছরের ১ আগস্ট মামলার তদন্তভার আমাদের দেওয়া হয়। আমার তত্ত্বাবধানে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতের আদেশে এজাহারনামীয় আসামি জয়নাল আবেদীনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। জমি ও মাছের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন বলে জানান।’’
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘‘এরপর জয়নালের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে আসামি মো.
পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান জানান, উভয় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদালতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী ও মনোজ কুমার দে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য প ব আই তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফার্গি টাইম’ গোলে টটেনহামের সঙ্গে ড্র ইউনাইটেডের
টটেনহাম ২–২ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
নির্ধারিত সময় শেষ। যোগ হওয়া সময়ের প্রথম মিনিটেই রিচার্লিসনের গোল! টটেনহাম স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার উল্লাস। মনে হচ্ছিল, আশা শেষ, এই ম্যাচে আর কিছু করতে পারবে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিলেন মাথিয়াস ডি লিখট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে। ৯৬ মিনিটে তাঁর দুর্দান্ত হেড গেল টটেনহামের জালে, ২-২ সমতার পর বাজল শেষ বাঁশি। নাটকীয় এক ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করল দুই দল।
উত্তর লন্ডনে আজ ইউরোপা লিগ ফাইনালের পুনর্মিলনীটা শেষ পর্যন্ত যে এমন রোমাঞ্চকর থ্রিলারে রূপ নেবে তা অবশ্য শুরুতে বোঝা যায়নি। ৩২তম মিনিটে ব্রায়ান এমবিউয়োমোর গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। বিরতির আগে ওই একটাই গোল। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজতেই টটেনহামের গ্যালারিতে শোনা যায় অসন্তুষ্ট দর্শকের দুয়ো। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে মাত্র তিনটি জয়, স্পার্স সমর্থকদের ধৈর্য যেন শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে ছবিটা পাল্টে দেন বদলি খেলোয়াড় মাথিস তেল। ৮৪ মিনিটে তাঁর গোলেই সমতায় ফেরে টটেনহাম।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রিচার্লিসনের গোলে ২–১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল টটেনহাম