মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে অপটিমাপ্লাস্ট
Published: 24th, September 2025 GMT
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও অপটিমাপ্লাস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে ৩ একর জমি বরাদ্দ–সংক্রান্ত লিজচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেজা কার্যালয়ে এ চুক্তি হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বেজা।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ৩ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন বা প্রায় ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটি নতুন কারখানা করবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এই কারখানায় প্লাস্টিক বোতল, লুব্রিকেন্ট ও পেইন্ট কনটেইনার, বাকেট, ঢাকনা, ক্যাপ, পিইটি প্রিফর্ম ও পিইটি জার উৎপাদনের পাশাপাশি রক্তের ব্যাগ ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অপটিমাপ্লাস্ট ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রামে রিলায়েন্স ক্যান ইন্ডাস্ট্রি নামে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চমানের প্লাস্টিক রিজিড ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয়। প্রায় ৯৬ কোটি টাকা বার্ষিক টার্নওভার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি উন্নত প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায় কনটেইনার, প্যাকেজিং সল্যুশন, শিল্প উপাদানসহ নানান পণ্য সরবরাহ করছে।
চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) সালেহ আহমদ বলেন, জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের বিশেষ সুযোগ তৈরি করেছে। অপটিমাপ্লাস্টের বিনিয়োগে ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য আসবে ও শিল্প সমন্বয় গড়ে উঠবে।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অপটিমাপ্লাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম একরামুল হক দ্রুত কারখানা নির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা শিল্প নগরের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কারখানা গড়ে তুলব।’
বর্তমানে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান উৎপাদনে রয়েছে এবং আরও ২০টির নির্মাণকাজ চলছে। দেশের বৃহত্তম এ পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চলে শিল্পকারখানার পাশাপাশি নগর সুবিধাও যুক্ত হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপট ম প ল স ট
এছাড়াও পড়ুন:
একে একে সবাই উঠে দাঁড়ালেন, করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানালেন: আয়রনম্যান আরাফাত
সেই অষ্টম শ্রেণি থেকে প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক আমি। বাসার কাছেই ছিল একটি ওষুধের দোকান। সেখানে পত্রিকা রাখা হতো। স্কুলে যাওয়া–আসার পথে সেই দোকানে বসে পত্রিকা পড়তাম।
কলেজে ওঠার পর প্রথম আলোতে একদিন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর পড়ি। পড়ে রোমাঞ্চিত হই। চিন্তা করি, কীভাবে সম্ভব সাগরে সাঁতার কাটা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও সেটি মাথায় ছিল। ২০১৩ সালে সাঁতারু লিপটন সরকার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পার হওয়ার ইচ্ছার কথা তাঁকে জানালাম। তিনি উৎসাহ দিলেন। শুরু হলো অনুশীলন। ২০১৫ সালে সাঁতরে পাড়ি দিলাম ওই চ্যানেল। সেই খবর ছাপল প্রথম আলো। কাছের-দূরের, কম পরিচিত-বেশি পরিচিত—সবাই খবরটা জেনে শুভেচ্ছা জানালেন। অনেক উৎসাহ পেলাম।
আমার রোমাঞ্চকর যাত্রা অব্যাহত থাকল। ২০১৭ সালে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার মিশনে নামলাম। উদ্দেশ্য ছিল ‘দৌড়ের মাধ্যমে সুস্থতা’র বার্তা ছড়ানো। ২০ দিনের সেই যাত্রার গল্প ছাপা হলো ‘ছুটির দিনে’তে। শিরোনাম আজও মনে আছে, ‘দৌড়ে দৌড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া’। খবরটি দেখে সেই দিন এতটা নার্ভাস লাগছিল যে সারা দিন আর কোনো কাজ করতে পারিনি।
‘চ্যালেঞ্জ রথ’ ট্রায়াথলনে বাংলাদেশের মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত