বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দুই সপ্তাহ আগে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতি গিয়েছিলেন ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ। কর্মস্থল থেকে তিন দিনের ছুটি নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি মায়ের কাছে পৌঁছান। সেখানে তিন রাত কাটিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে আবার কর্মস্থল টঙ্গীতে ফিরে যান। কথা ছিল মাসখানেক পর আবার বাড়ি আসবেন। কিন্তু তাঁর সেই ইচ্ছা আর পূরণ হলো না।

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হওয়ার এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শামীম। তাঁর মৃত্যুর খবরে পরিবার ও স্বজনদের পাশাপাশি গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবার ও প্রতিবেশীরা বলছেন, এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের একমাত্র ভরসা হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন বৃদ্ধা মা, একমাত্র বোন ও বড় ভাইয়েরা। তাঁদের আহাজারিতে আশপাশের লোকজনও চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না।

আরও পড়ুনটঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামের আগুনে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু২০ ঘণ্টা আগেশামীম আহমেদ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আগারগাঁওয়ে ফুটপাতে দোকান বসানো নিয়ে মারামারি, নিহত ১

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তালতলা এলাকায় সরকারি জায়গায় দোকান বাসানোকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় বাবুল মিয়া (৪০) নামে এক চায়ের দোকানি নিহত হয়েছেন।

শেরেবাংলা নগর থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে তালতলা এলাকায় জনতা গেটের সামনে সরকারি জায়গায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই দোকানির মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে চায়ের দোকানি বাবুল মিয়াকে আরেক দোকানি রুহুল আমিন ও তাঁর ছেলে রবিউল লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান বাবুল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ