‘বাধ্যতামূলক সেপটিক ট্যাংক ও এসটিপি স্থাপন করতে হবে’
Published: 24th, September 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকাকে ব্রাউন শহর থেকে সবুজ ও স্মার্ট নগরীতে রূপান্তর করতে হলে কার্যকর সুয়্যারেজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য প্রতিটি ভবনে সেপটিক ট্যাংক বা এসটিপি (সুয়্যারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে।
রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বুধবার আয়োজিত ‘নির্মিত/নির্মাণাধীন ভবনসমূহে সেপটিক ট্যাংক/এসটিপি স্থাপন’ বিষয়ক অংশীজনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ঢাকা শহরের হাসপাতাল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ সকল স্থাপনার জন্য এসটিপি স্থাপন কোনোভাবেই কঠিন কাজ নয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘রাজধানীর নদী ও খাল দূষণমুক্ত করা কঠিন হলেও তা অসম্ভব নয়। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং উৎস থেকে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। শুধু ড্রেজিং করে কিংবা দায় এড়িয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।’’
সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা দীর্ঘমেয়াদি ভিশন, কার্যকর গভর্নেন্স এবং আইনগত সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইন সংশোধন ও কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব নগরীতে রূপান্তরিত হবে।
তিনি নগরীর ছাদবাগান, সড়ক বিভাজন সবুজায়ন এবং পার্ক সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। একইসাথে ভবন নির্মাণে সেপটিক ট্যাংক ও এসটিপি স্থাপনের বাধ্যবাধকতা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) মোঃ গিয়াস উদ্দিন।
সেমিনারে প্রারম্ভিক উপস্থাপনা দেন রাজউকের উপনগর পরিকল্পনাবিদ সাঈদ রেজাউল হক। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, ডাইকি এক্সিস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুই ওয়াসে এবং প্রধান নির্বাহী শফিকুল ইসলাম।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা ঢাকা শহরকে টেকসই ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মতামত তুলে ধরেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ এসট প
এছাড়াও পড়ুন:
তরুণ লেখক ফোরামের সভাপতি সজীব, সম্পাদক আ. রহিম
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের ২০২৫-২৬ কার্যবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় পর্ষদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি পদে মনোনীত হয়েছেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহম্মদ সজীব প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আবদুর রহিম।
আরো পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব নাকোচ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নেতাদের ওপর হামলায় জাকসুর নিন্দা
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির উপদেষ্টা ফয়সাল আহম্মদ ও মাহদী হাসান মজুমদার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন কার্যবছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে নব মনোনীত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
নব মনোনীত সভাপতি পূর্বে সংগঠনটির যথাক্রমে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।
নব মনোনীত সাধারণ সম্পাদক পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।
‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম। তরুণ লেখকদের পরামর্শ দেওয়া, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করাসহ লেখালেখি বিষয়ক সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।
বর্তমানে দেশের ২১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজ ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে দেশের তরুণ লেখকদের এ সংগঠন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী