পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকাকে ব্রাউন শহর থেকে সবুজ ও স্মার্ট নগরীতে রূপান্তর করতে হলে কার্যকর সুয়্যারেজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য প্রতিটি ভবনে সেপটিক ট্যাংক বা এসটিপি (সুয়্যারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে।

রাজধানীর র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বুধবার আয়োজিত ‘নির্মিত/নির্মাণাধীন ভবনসমূহে সেপটিক ট্যাংক/এসটিপি স্থাপন’ বিষয়ক অংশীজনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা ব‌লেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ঢাকা শহরের হাসপাতাল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ সকল স্থাপনার জন্য এসটিপি স্থাপন কোনোভাবেই কঠিন কাজ নয়।’’

তিনি বলেন, ‘‘রাজধানীর নদী ও খাল দূষণমুক্ত করা কঠিন হলেও তা অসম্ভব নয়। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং উৎস থেকে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। শুধু ড্রেজিং করে কিংবা দায় এড়িয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।’’

সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা দীর্ঘমেয়াদি ভিশন, কার্যকর গভর্নেন্স এবং আইনগত সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইন সংশোধন ও কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব নগরীতে রূপান্তরিত হবে।

তিনি নগরীর ছাদবাগান, সড়ক বিভাজন সবুজায়ন এবং পার্ক সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। একইসাথে ভবন নির্মাণে সেপটিক ট্যাংক ও এসটিপি স্থাপনের বাধ্যবাধকতা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) মোঃ গিয়াস উদ্দিন।

সেমিনারে প্রারম্ভিক উপস্থাপনা দেন রাজউকের উপনগর পরিকল্পনাবিদ সাঈদ রেজাউল হক। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, ডাইকি এক্সিস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুই ওয়াসে এবং প্রধান নির্বাহী শফিকুল ইসলাম।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা ঢাকা শহরকে টেকসই ও বাসযোগ্য নগরীতে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মতামত তুলে ধরেন।      

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ এসট প

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে আওয়ামী লীগ–সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেপ্তার

সিলেটে কার্যক্রম–নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এই চারজন হলেন সিলেট মহানগর ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য মো. ওমর ফারুক (২৪), সিলেট নগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান (৪০), ২৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জয়নাল আহমেদ (৫২) ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য আবদুর রশিদ (৩৯)।

পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার সকালে নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় নিষিদ্ধ–ঘোষিত ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিল করে। মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সুবিদবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মো. ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন সন্ধ্যায় মোগলাবাজার থানার আলামপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলার সন্দেহভাজন আসামি জয়নাল আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে শুক্রবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবু সুফিয়ানকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। সেখান থেকে তাঁকে সিলেট কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার জালালাবাদ থানার পনিটুলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য আবদুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে জালালাবাদ থানা-পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ