নারায়ণগঞ্জে জাকের পার্টির জনসভা ও র্যালী অনুষ্ঠিত
Published: 25th, September 2025 GMT
জাকের পার্টির চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাশিপুর ইউনিয়নে জাকের পার্টির জনসভা ও র্যালী অনুষ্ঠিত।
বুধবার বিকালে ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার গোলাম ডাইং সংলগ্ন মাঠে জাকের পার্টি ও সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ জনসভা এবং র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টি অতিরিক্ত মহাসচিব মুরাদ হোসেন জামাল
অনুষ্ঠানে কাশিপুর ইউনিয়নের জাকের পার্টির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, মোরশেদ হাসান জামাল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকের পার্টি যুব সেচছা সেবক ফ্রন্ট, যুগ্ম টিম প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টি ছাত্র ফ্রন্ট এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার এমিল,
নারায়ণগঞ্জ জেলার জাকের পার্টি যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম ফারুক আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাকের পার্টির সদস্য সাহিন আহমেদ ও হাবিবুর রহমান এবং জাকের পার্টি মহিলা ও ছাত্রীফ্রন্ট সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
জনসভা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে তবারক বিতরণ করা হয়।
জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাকের পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব মুরাদ হোসেন জামাল।
তিনি দলের আদর্শ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং দেশের উন্নয়নে জাকের পার্টির ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, দেশে এমন পরিস্থিতি জাকের পার্টির প্রয়োজন।
জাকের পার্টির মানুষের উপর অত্যাচার করে না, মানুষের জান মালের সেবায় নিয়জিত,
দেশের মানুষের কল্যাণে আগামী নির্বাচনে জাকের পার্টির ৩০০ আসনে নির্বাচনে দাড়াবে।
আমাদের মনোনীত প্রার্থী রয়েছে। আমরা কোনো দলে যুক্ত হয়ে কোনো প্রতিকে নির্বাচনে যাবো না আমাদের দলের নিজেস্ব প্রতিক রয়েছে সেই প্রতিকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে জাকের পার্টি।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণের স্বার্থে এবং জনগণের জন্য যদি রাজনীতি করতো, এদেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তারাই থাকত। দল ও দলের নেতা-কর্মীদের জন্য রাজনীতি ছিলো বিধায় তারা থাকতে পারেনি
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কারের মূল লক্ষ্য প্রশাসনিক নয়, নৈতিক: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “সংস্কারের মূল লক্ষ্য প্রশাসনিক নয়, বরং নৈতিক। যাতে প্রতিষ্ঠান ক্ষমতাকে নয়, মানুষকে সেবা দেয়, কর্তৃত্ব বৈধতার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বিচার বিভাগ জনগণের আস্থার নৈতিক অভিভাবকে পরিণত হয়।”
শনিবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি (হীরক জয়ন্তী) ও পুনর্মিলনী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
‘জামায়াতের রাজনীতি শুরু হয় জিয়াউর রহমানের নীতির কারণে’
ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘প্রথম’ ঢাবিতে ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’
প্রধান বিচারপতির মা ড. সুফিয়া আহমেদ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন।
মায়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “তিনি ছিলেন সেই বিরল প্রজন্মের একজন, যাদের বুদ্ধিবৃত্তিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নৈতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিল। তার জীবন ছিল নারীর একাডেমিক ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার নৈতিক শুদ্ধতার প্রতীক, যা এখনো আমাকে প্রভাবিত করে।”
তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক দিনে আপনাদের সামনে দাঁড়ানো মানে স্মৃতি ও নিয়তির এক মহামিলনের অভিজ্ঞতা অর্জন করা। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৭৫ বছরের যাত্রা কেবল একাডেমিক সাফল্যের ইতিহাস নয়, বরং এটি জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনেরই এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়।”
তিনি আরো বলেন, “আইন হলো কোনো জাতির নৈতিক ইতিহাস, যা ন্যায়ের ভাষায় লেখা হয়; আর ইতিহাস হলো কেন সমাজকে আরো ভালো হতে হবে, তারই অনুসন্ধান। ইতিহাসের গভীর বোধ ছাড়া কোনো সংস্কারক প্রজ্ঞাবান হতে পারেন না, আর কোনো বিচারক তার সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেন না।”
প্রধান বিচারপতি সম্প্রতি মিসরের বিবলিওথেকা আলেকজান্দ্রিনা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “প্রাচীন আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার মানবজাতির সেই সাহসী বিশ্বাসের প্রতীক ছিল, যেখানে জ্ঞানের মাধ্যমে ভিন্ন সভ্যতার মানুষ একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও একইভাবে রাজনৈতিক প্রতিকূলতা ও ইতিহাসের বিভাজন অতিক্রম করে জ্ঞানের আলোয় জাতিকে আলোকিত করে চলেছে।”
বিচার বিভাগীয় সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচার বিভাগ কেবল ঐতিহ্যের স্বস্তিতে টিকে থাকতে পারে না। এটিকে সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হয়। আর সময়ের সঙ্গে বিচার বিভাগকে প্রাসঙ্গিক থাকতে হলে তাকে সংস্কার করতে হয়। গত ১৫ মাসে আমরা বিচারব্যবস্থার স্বায়ত্তশাসন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জনগণের বিচারপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি এবং সেটি এখনো চলমান আছে।”
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।