শিক্ষক-কর্মকর্তা লাঞ্ছনায় জড়িতদের বহিষ্কারসহ পাঁচ দাবি ইউট্যাবের
Published: 26th, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পোষ্য কোটা’ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সহ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের স্থায়ী বহিষ্কার, রাকসু নির্বাচনের প্রার্থিতা বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইউট্যাব)। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের টিচার্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনটির বাকি তিনটি দাবি হলো, লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ; শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রাকসু নির্বাচন করার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত ও শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠটির সভাপতি অধ্যাপক মো.
রাকসু নির্বাচনের আগে আবার কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে কি না, এক প্রশ্নের জবাবে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে, নির্বাচনের আগেই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে ইউট্যাব কর্মসূচি দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না।’
রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে ইউট্যাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরাও চাই নির্বাচন হোক, এর মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ হবে। আমাদের কর্মসূচি নির্দিষ্ট দাবির জন্য। তা ছাড়া রাকসু নির্বাচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট একটা কমিশন আছে। তারা যদি নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ তৈরি করতে পারে, তাহলে ১৬ অক্টোবর নির্বাচন হবে।’
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ১০ শর্তে ‘পোষ্য কোটা’ ফিরিয়ে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। একপর্যায়ে গত শনিবার জুবেরী ভবনে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও কর্মকর্তারা কর্মবিরতিতে যান। ২৪ সেপ্টেম্বর দুই দাবিতে সাত দিনের সময়সীমা দিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্যদিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম আপাতত কর্মবিরতি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর কর মকর ত উপ চ র য ইউট য ব ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন বাজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো মাদক সেবীদের আস্তানা
মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় এবার সরাসরি মাঠে নামল সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন বাজার সামাজিক সংগঠন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ১১টায় সংগঠনটি এক ব্যতিক্রমী মাদকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আদমজীনগর সোনামিয়া বাজা’র এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।
সংগঠনের সদস্যরা নতুন বাজার এলাকার মাদক সেবীদের আস্তানায় মহড়া দেন এবং যেখানে বসে মাদক সেবন করা হয়, সেই স্থানগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে তারা আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জোর আহ্বান জানান।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, আজ আমাদের সমাজে মাদক রন্ধ্রে রন্ধ্রে সয়লাব। দিন দিন যুবসমাজের মধ্যে এ প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের ভবিষ্যতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
মাদক শুধু একটি পরিবার নয়, একটি সমাজকেও শেষ করে দেয়। আমাদের এই অভিযান মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ। নতুন বাজার সামাজিক সংগঠন কোনোমতেই এই এলাকায় মাদক সেবন বা ব্যবসা চলতে দেবে না।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করি।
এসময় মাদকবিরোধী এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের, উপদেষ্টা মোঃ সেলিম, আবুল হাশেম মন্টু, মাইন উদ্দিন আহমেদ, সংগঠনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল হোসেন মুসা, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আহাদ, সদস্য মোঃ আজিমসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
সংগঠনের সদস্যরা দৃঢ়তার সাথে জানান, মাদকের এই ভয়াবহতা রোধে তাদের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।