ঢাকা আসছেন পাকিস্তানি গায়ক আলী আজমত
Published: 27th, September 2025 GMT
ছয় বছরের বিরতি শেষে আবারও ঢাকার মঞ্চে গান গাইবেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি রক সংগীতশিল্পী আলী আজমত। এবারই প্রথমবারের মতো একক কনসার্টে গাইবেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেসবুক পেজে কনসার্টের একটি ছবি শেয়ার করে আলী আজমত লিখেছেন, “হ্যালো বাংলাদেশ। অবশেষে! আশা করি তোমাদের সবার সাথে দেখা হবে।’’
এবারের আয়োজনের শিরোনাম রাখা হয়েছে ‘আলী আজমত (দ্য ভয়েজ অব জুনুন) লাইভ ইন ঢাকা’। যদিও কনসার্টের তারিখ, স্থান ও আয়োজকদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি।
এর আগে দু’বার ঢাকায় এসেছিলেন এই রক তারকা। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’-এ দর্শকদের মুগ্ধ করেন তিনি।
আলী আজমত মূলত পাকিস্তানের বিখ্যাত রক ব্যান্ড ‘জুনুন’-এর প্রধান ভোকালিস্ট হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান। ১৯৯১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ব্যান্ডটির হয়ে গান করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে গড়ে তোলেন নিজের ব্যান্ড ‘সোশ্যাল সার্কাস’।
তার কণ্ঠে জনপ্রিয় হয়েছে অসংখ্য গান— ‘সায়োনি’, ‘দিওয়ানা’, ‘তেরে লিয়ে’, ‘মাওলা’, ‘ইয়ে জিসম’, ‘রঙিলা’, ‘খুদি কো কর বুলন্দ’, ‘জিন্দা’ ইত্যাদি। শুধু গায়ক হিসেবেই নয়, অভিনেতা হিসেবেও তিনি পাকিস্তান ও বলিউডে জনপ্রিয়।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)