এমন শক্তিশালী চরিত্রের অপেক্ষায় ছিলেন ঋতিকা
Published: 28th, September 2025 GMT
তেলেগু ছবির নায়িকা তিনি। তাঁর অভিনয়জীবনের বয়স মাত্র তিন বছর। কিন্তু এরই মধ্যে সর্বভারতীয় স্তরে ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন অভিনেত্রী ঋতিকা নায়েক। সদ্য মুক্তি পাওয়া তেলেগু ছবি ‘মিরাই’-এর হাত ধরে ঋতিকার খ্যাতি দক্ষিণের গণ্ডি পেরিয়ে ধীরে ধীরে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। দর্শকেরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন এই তরুণ অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি ওটিটি প্লে ডটকমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতিকা নিজের অভিনয়যাত্রা নিয়ে কথা বলেছেন।
তেলেগু রোমান্টিক-কমেডি ছবি দিয়ে শুরু হয়েছিল ঋতিকার অভিনয়যাত্রা। বিদ্যা সাগর চিন্তা পরিচালিত ‘অশোকা ভানামলো অর্জুনা কল্যায়াণম’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অভিষেক ছবিতেই দক্ষিণ ভারতের দর্শকের কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন এই নবাগত। তবে ‘মিরাই’-এর মাধ্যমে তাঁর পরিচিতি আরও বিস্তৃত হয়েছে। কার্তিক গত্তামনেনি পরিচালিত এই ফ্যান্টাসি-অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ছবিটি মুক্তি পেয়েছে বিশ্বব্যাপী। আর সে ছবির সাফল্যে ও দর্শকের ভালোবাসায় আপ্লুত ঋতিকা।
‘মিরাই’ ছবিটি প্রসঙ্গে ঋতিকা বলেন, ‘অভিষেকের পর আমি এক শক্তিশালী চরিত্রের অপেক্ষায় ছিলাম। ছবিটি আমাকে সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। এই ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্রটি শোনামাত্রই আমার দারুণ লেগেছিল। চরিত্রটির প্রাণশক্তি, গভীরতা আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।’ চরিত্রটিকে বাস্তবায়িত করতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। সেই কঠোর পরিশ্রমের যথাযথ ফল পেয়েছেন বলেই মনে করেন ঋতিকা। চিত্রসমালোচক থেকে শুরু করে সাধারণ সিনেমাপ্রেমী—সবাই তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ঋতিকা নায়েক। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)