কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
Published: 28th, September 2025 GMT
বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ‘দি কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে নতুনদের জয়জয়কার আর পুরাতনদের ভরাডুবি হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ভোট গণনার ফলাফলে ‘এ’ গ্রুপের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, মো. ফুয়াদ রেজা ফাহিম (ব্যালট ক্রমিক-১৪) প্রাপ্ত ভোট ১২৬৪, মো.
মো. জিহাদুজ্জামান (ব্যালট ক্রমিক-০৮) প্রাপ্ত ভোট ৯৫৮, ইঞ্জিঃ মো. শাহাবুদ্দীন (ব্যালট ক্রমিক-০৬) প্রাপ্ত ভোট ৯১২, হাজী মো. রবিউর রহমান (ব্যালট ক্রমিক-০৫) প্রাপ্ত ভোট ৯০১, প্রকৌশলী সাইফুল আলম মারুফ (ব্যালট ক্রমিক-১৭) প্রাপ্ত ভোট ৮৯২;
উত্তম সাহা (ব্যালট ক্রমিক-১০) প্রাপ্ত ভোট ৮৮২, এস এম আলমগীর আলম (ব্যালট ক্রমিক-১৩) প্রাপ্ত ভোট ৮৭৪, ইমরান হোসাইন (ব্যালট ক্রমিক-২০) প্রাপ্ত ভোট ৮৭৩ ও মো. হামিদুর রহমান (ব্যালট ক্রমিক-১৫) প্রাপ্ত ভোট ৮৬৫।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মীর ছানোয়ার হোসেন বলেন, “সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা ও সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কুষ্টিয়া চেম্বার ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের ১৮৯৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ১৫১৪ জন। ৩৮৫ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ১২ অধিক ভোট প্রদানের কারণে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩১টি ভোট। ১২টি পদের বিপরীতে ২১ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশন বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মীর ছানোয়ার হোসেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)