শপথ নিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর ১৩-সদস্যের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি। 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর আইইউটি অডিটোরিয়ামে আইইউটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইউটি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.

মো: রফিকুল ইসলাম।

শপথ গ্রহণ শেষে বিদায়ী কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কার্যক্রমের প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানান অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি আজিমউদ্দিন খান।

তিনি বলেন, “আমরা একটি কমিউনিটি হিসেবে একে অপরের জন্য কাজ করতে ও সেবা দিতে আগ্রহী। পূর্বসূরীদের মতো নর্বনির্বাচিত কমিটি অ্যাসোসিয়শেনকে আরো সুসংগঠিত ও কাঠামোবদ্ধ করে তুলতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন।” 

অনুষ্ঠানে আইইউটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ ফাহমি জানান, শিক্ষার্থী এবং অ্যালামনাইদের এক দশকেরও বেশি সময়ের বিশ্বাস ও আস্থা তাকে এই দায়িত্ব নিতে উদ্ধুদ্ধ করেছে। অ্যাসোয়িশনের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে যথাযথ দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে শপথ নেওয়া কমিটি’র অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাসিবুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল হোসেন লিমন, কোষাধ্যক্ষ আসিফুর রহমান চৌধুরী, সংগঠনিক সম্পাদক শোয়াইব বিন নূর, সহকারী কোষাধ্যক্ষ মঞ্জুরুল হাসান বন্ধন, প্রকাশনা সম্পাদক দেওয়ান তারিকুল মান্নান, নির্বাহী সদস্য আদহাম আরিক রহমান, তাকিয়া মোশাররফ, সেগুফত আলম জারিফ, আরিফিন ইসলাম এবং মো. সাব্বির রহমান। 

শপথ গ্রহণকালে নবনির্বাচিত সদস্যরা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, “অ্যাসোসিয়েশনের মর্যাদা এবং আমাদের আলমা ম্যাটারের গৌরব বৃদ্ধি কল্পে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করব।”

আইইউটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অভিভাবক ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. রফিকুল ইসালম নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি তাঁর প্রত্যাশা ব্যক্ত করে অ্যালামনাই নেটওয়ার্ককে আরো শক্তিশালী করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে কমিটির বিদায়ী সভাপতি জিয়াউল হক ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল মোমেন তাদের তিন বছরের সফল কার্যকাল স্মরণ করে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া, নির্বাচনি প্রক্রিয়া চলাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও তা সফলভাবে মোকাবিলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রেজওয়ানুল হক।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নবন র ব চ ত ক কম ট র অন ষ ঠ সদস য শপথ গ

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ