যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
Published: 28th, September 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সারা বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের প্রতিনিধিদের সামনে বাংলাদেশের দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা ‘হোম কামিং’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন স্থাপনা ও দেশীয় সংস্কৃতির নানা দিক তুলে ধরেন সেখানে। জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন রক্ষার গুরুত্ব পৃথিবীর সামনে তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, জাপান, শ্রীলংকা, চীন, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, আইভরি কোস্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ঘানাসহ ৩০টি দেশের শিক্ষার্থীরা এখানে অংশগ্রহণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সামনে বাংলাদেশের দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)